স্টাফ রিপোর্টার: নিরাপত্তাকর্মীর চাকরির নামে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার হিরন পারভেজসহ পাঁচ প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে র্যাব। তাদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এডি), অপারেশন্স মো. মাজহারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ১৫ নভেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারে বন্যা সিকিউরিটি সার্ভিস (প্রাঃ) লিমিটেড অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, সাম্প্রতিককালে প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করে সাধারণ জনগনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেণির প্রতারক চক্র। জঙ্গিবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা এবং অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি সাম্প্রতিক এসব প্রতারক চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা তৎপর।
তথ্য মতে, এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাত ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল ঢাকা সাভার মডেল থানাধীন বন্যা সিকিউরিটি সার্ভিস (প্রা.) লি. অফিসে অভিযান পরিচালনা করে সিকিউরিটি গার্ডে চাকরি দেয়ার কথা বলে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাৎ করার অপরাধে কম্পিউটার সেট ২টি, সীম ১৪টি, ইউনিফরম ৭ সেট, বুট ২ সেট, সীল ২টি, রেজিস্ট্রার ১টি, অঙ্গীকারনামা ৯০ পাতা, ভাউচার ৯০ পাতা, ভর্তির আবেদন ফরম ৯০ পাতাসহ নিন্মোক্ত প্রতারক চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার হিরন পারভেজ (২১), কুড়িগ্রাম জেলা মোছা. সাহের বানু (৩২) ও সুমন বাবু, জামালপুর জেলার খাইরুল ইসলাম (৫০) এবং বরিশাল জেলার রবিউল ইসলাম রবি (২২)।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে আসামিরা তাদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে ও এই ধরনের প্রতারণার কথা স্বীকার করে ও বিভিন্ন সাধারণ ও নিরীহ লোকজনদের নিকট হতে বিপুল পরিমাণের নগদ অর্থ প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করে আসছে। অপরাধীদের প্রতারণার কৌশল- তারা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে উক্ত স্থানে বন্যা সিকিউরিটি সার্ভিস (প্রা.) লি. নামে অফিস খুলে বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারন লোকজনকে আকৃষ্ট করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামিরা উক্ত লোকজনদের নিকট হতে ফরম, ইউনিফরম ক্রয় বাবদ বিভিন্ন অংকের টাকা নিয়ে তাদের চাকুরি না দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে আসছে।
এভাবে গ্রেফতার আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে একই সাধনকল্পে প্রতারণার উদ্দেশ্যে উক্ত অফিস খুলে সেখানে সিকিউরিটি গার্ডে নিয়োগের কথা বলে অসংখ্য লোকের নিকট হতে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তা আত্মসাৎ করে আসছে। কেউ তার প্রদানকৃত টাকা ফেরত চাইলে ধৃত আসামিরা তাকে প্রাণ নাশের হুমকিসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদান করে তাদের উক্ত অফিস হতে বের করে দেয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোরালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান র্যাবের কর্মকর্তারা।