কুষ্টয়িা প্রতনিধি:ি রাতে জন্ম নয়ো মৃত সন্তানরে লাশ দাফনরে জন্য সকালে গ্রামে ছুটে যান আশরাফুল আলম। বলো ১১টা নাগাদ লাশ দাফন করনে। এর ঘণ্টা দুয়কেরে মাথায় তনিি ফোনে জানতে পারনে, হাসপাতালে চকিৎিসাধীন স্ত্রী রহমিা খাতুনও চলে গছেনে না ফরোর দশে।ে সাত মাসরে অন্তঃসত্ত্বা রহমিা খাতুনরে (৩৬) এক সপ্তাহ আগে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থকেে তনিি কুষ্টয়িা করোনা হাসপাতালে চকিৎিসাধীন ছলিনে। গতকাল বৃহস্পতবিার রাতে মৃত সন্তান প্রসব করনে তনি।ি এরপর গতকাল শুক্রবার বলো একটার দকিে মারা যান রহমিা খাতুন। এ সময় তার পাশে ভাই আশরাফুল আলম ও বোন হাজরো খাতুন ছলিনে। রহমিা খাতুনরে স্বামী আশরাফুল আলম মৌসুমী ব্যবসায়ী। রহমিা মরিপুর উপজলোর হালসা মাধ্যমকি বদ্যিালয়রে শক্ষিক ছলিনে। বোনরে মৃত্যুর পর হাজরো খাতুন হাসপাতালে থাকার সময় প্রয়োজনীয় জনিসিপত্র গোছাচ্ছলিনে আর কাঁদছলিনে। তনিি বলনে, ‘গত শুক্রবার আমার বোনটা ভালোছলিো, খাবার খয়েছেলিো। আজ চলে গলেো, সঙ্গে বাচ্চাটাও। কছিুই রইলো না আর।’
বোনরে মরদহে ট্রলতিে করে হাসপাতাল থকেে বরে করার সময় ভাই আশরাফুল আলম বলনে, ‘অনকে চষ্টো করলাম, কাউকে ধরে রাখতে পারলাম না। বোনজামাই আশরাফুল তার সন্তানকে দাফন করতে গয়িছেলিনে। এরপর বোনরে মৃত্যুর খবর শুনে তনিওি শোকে কাতর হয়ে পড়ছেনে।’এর আগে রহমিার স্বামী আশরাফুল আলম জানয়িছেলিনে, ২০ জুলাই জ্বরসহ করোনার কছিু উপর্সগ দখো দয়ে রহমিার শরীর।ে ২৩ জুলাই তাকে করোনা হাসপাতালে আনা হয়। নমুনা দয়োর পর পজটিভি শনাক্ত হলে তাকে দ্রুত ওর্য়াডে র্ভতি করে অক্সজিনে দয়ো হয়। বশেরি ভাগ সময়ই তাকে অক্সজিনে সার্পোট দয়িে রাখতে হয়। বৃহস্পতবিার রাতে পয়েংি ওর্য়াডে র্কতব্যরত ছলিনে চকিৎিসক মো. আবদুল্লাহ। তনিি জানান, রাত ১০টার দকিে হঠাৎ রহমিা খাতুন পটেে ব্যথা অনুভব করনে। সঙ্গে সঙ্গে গাইনি চকিৎিসক সুস্মতিা পাল ও মনোরমা সরকারকে জানানো হয়। তারা দ্রুত হাসপাতালে চলে আসনে। এরই মধ্যে রহমিার ব্যথা তীব্র হলে তাকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নয়োর প্রস্তুতি চলছলিো। তাৎক্ষণকিভাবে দক্ষ র্নাস ও আয়ারা ওর্য়াডরে ভতের কাপড় দয়িে ঘরিে তার প্রসব করানোর চষ্টো করনে। কয়কে মনিটিরে মধ্যে পুত্রসন্তান প্রসব করনে রহমিা। তবে সন্তানটি মৃত ছলিো। শুক্রবার সকালে কুষ্টয়িা করোনা হাসপাতালরে পয়েংি ওর্য়াডে দায়ত্বিরত চকিৎিসক তাসমনিা তাবাসসুম বলনে, প্রসূতরি শরীরে অক্সজিনেরে মাত্রা শুক্রবার সকালে ৫৫ থকেে ৬০ এ ওঠানামা করছলিো। কন্দ্রেীয় অক্সজিনে ও হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলায় অক্সজিনে দয়ো হচ্ছলিো। তাকে বাঁচানোর র্সবােচ্চ চষ্টো করা হয়ছে।ে
হাসপাতালরে মডেসিনি বশিষেজ্ঞ আক্রামুজ্জামান মন্টিু বলনে, করোনায় আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বাদরে চকিৎিসা দয়ো একটু কঠনি। রহমিা ৩২ সপ্তাহরে অন্তঃসত্ত্বা ছলিনে। অক্সজিনেসহ তার বভিন্নি ধরনরে ওষুধ চলছলিো। এতে সাধারণত বাচ্চাকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। তারপরও চষ্টো চালানো হয়ছেলিো। এছাড়া মায়রে উচ্চরক্তচাপ ছলিো।