কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর তামাকক্ষেতে মিলল নারীর নিথর দেহ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের মশান গ্রামের একটি তামাকক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই নারীর নাম সন্দেসী বালা দাসী (৪৫)। তিনি মশান গ্রামের ঋষিপাড়ার বাসিন্দা ঝন্টু দাসের স্ত্রী। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশের ধারণা, তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হতে পারে। তার লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও সন্দেসী বালার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সন্দেসী বালা গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। গত শুক্রবা সন্ধ্যা ৬টার কিছুক্ষণ পর নিজের বাড়ির রান্নার কাজে ব্যবহারের জন্য পাতা কুড়াতে বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশের বাগানে যান তিনি। এরপর রাত হয়ে গেলেও আর ফেরেননি। পরিবারের সদস্যরা রাত সাড়ে আটটার পর থেকে তাকে এলাকায় খুঁজতে থাকেন। আশপাশের এলাকাতেও তাকে পাওয়া যায়নি। আজ সকাল সাড়ে ছয়টার কিছু সময় পর স্থানীয় কৃষকেরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে তামাকখেতের মধ্যে এক নারীর মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে সন্দেসী বালার পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জিন্নাহ আলী খান বলেন, সন্দেসী গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে পাতা কুড়াতে বাড়ির পাশের বাগানে যান। দীর্ঘ সময় পরেও ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করেন, তবে তাঁকে পাওয়া যায় না। সকালে লাশ পাওয়া গেছে। পুলিশকে খবর দিলে মিরপুর থানা-পুলিশ দুপুর ১২টার দিকে লাশ নিয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সন্দেসী বালার কানে সোনার দুল ছিল, সেটা পাওয়া যায়নি। যে তামাকখেতে লাশ পাওয়া গেছে, সেটির পাশের বাগানে মাদকের আড্ডা বসে। সন্দেসী বালার নিকটাত্মীয় গণেশ দাস বলেন, সন্দেসীর সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল না। খুবই ভালো ছিলেন তিনি। তাকে কেন, কী কারণে হত্যা করা হয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে না।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যার পর লাশ ফেলে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে কাজ করছে।