স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আরও ৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ দিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ৪৯০ জনে। সুস্থতার তালিকায়ও নতুন করে যোগ হয়েছেন আরও ৩ জন। ফলে আক্রান্তদের মধ্যে গতকাল পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৮৫ জন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পাওয়া চুয়াডাঙ্গার নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গার ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এসে পৌঁছায় স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে। ২৫ জনের মধ্যে ৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এ দিয়ে জেলার মোট ১ হাজার ৪৯০ জন করোনা আক্রান্ত হলেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৪ এবং আলমডাঙ্গা উপজেলার ৪ জন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও ৬ জন মহিলা। বয়স ৪ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার নতুন আরও ৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলার মোট ৬ হাজার ৮৮ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে পাওয়া ৫ হাজার ৯৫৬ জনের রিপোর্টে ১ হাজার ৪৯০ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যেই আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৮৫ জন। এছাড়া করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের এবং মৃত ব্যক্তির নমুনায় ২০ জনের পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। ঢাকায় রেফার করা ১৫ জনের মধ্যে ১১ জন সুস্থ এবং ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ১৪ জন এবং নিজ বাড়ি তথা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫৩ জন।
শীতের আগে সংক্রমণের হার কিছুটা কমলেও শীতের সময় করোনার আরেকটা ধাক্কা আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই সংক্রমণ কমাতে এখন থেকেই পদক্ষেপ ও প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন জানিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতের সময় আবহাওয়ার কারণে সর্দি কাশি বেশি হয়, আবার যে কোনো ছোঁয়াচে রোগ শীত ও বর্ষাতে বেশি হয়। একইসঙ্গে হিউমিলিটি যখন ড্রাই থাকে তখন সেটা বাতাসে বেশিক্ষণ থাকে। এজন্য সংক্রমণের সম্ভাবনাও বাড়তে পারে। যাদের অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট থাকে তাদের শীতের সময় এসব রোগের সম্ভাবনা বাড়ে।