আন্দোলনে পায়ে গুলিবিদ্ধ দামুড়হুদার মোফায়েল হোসেন কে আর্থিক সহায়তা প্রদান॥

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে পা হারাতে বসা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার মোফায়েল হোসেন (২৩) নামের যুবক কে আর্থিক সহায়তা দিলেন দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন ও ওয়েভ ফাউন্ডেশন। রোববার (০১-সেপ্টেম্বর) বিকালে এই অনুদান দেওয়া হয়।মোফায়েল জেলার দামুড়হুদা উপজেলার পুরাতন বাস্তপুর গ্রামের হাফিজূল ইসলামের ছেলে ও ঢাকা যাত্রাবাড়ী প্রদিপ ফ্যান কোম্পানির চাকুরিজীবি।গত ১৯ জুলাই রাত ১২টার দিকে যাত্রাবাড়ী গুলিবিদ্ধ হন তিনি।দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসান মিতা জানতে পারেন, উপজেলার বাস্তপুর গ্রামের যুবক মোফায়েল মিছিলে অংশ নিলে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন। এমন খবরে তিনি বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। এ সময় তিনি তার চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ সহায়তা দেন।এ সময় মোফায়েল হোসেন,জানান বুধবার তাকে ক্ষত পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়ায় যেতে হবে ও তিন মাসপর আবারো পঙ্গু তে যেতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কুষ্ঠিয়ায় যাওয়ার জন্য এ্যম্বুলেন্স ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবেন বলে জানান। এর আগে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক জহির রাইয়ান,সহকারী পরিচালক,কিতাব আলি, সিনিয়র সমন্বয়ক কামরুজ্জামান যুদ্ধ,জেলা লোকমোচৗর সভাপতি শাহা আলম সনি,সচিব কানিজ সুলতানা। এছাড়া ও উপস্থিত ছিলেন. সাধারন শিক্ষার্থী দর্শনা ও চুয়াডাঙ্গা আবিদ হাসান রিফাত,আজহারুল ইসলাম সোহান,ইসম্ইাল হোসেন,সাজিবুল ইসলাম, আল মোতাকাব্বির সাকিব ও রতামান্না খাতুন।
উল্লেখ্য মোফায়েল হোসেন গত ১৯ জুলাই বিকালে বড় ভাইদের সাথে যাত্রাবাড়ী সড়কে মিছিলে অংশ নেন। এ সময় রাত ১২টার দিকে পুলিশ মিছিলে গুলি চালায়।তখন তার ডান পায়ের উরুতে গুলিবৃদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।এসময় তার সহযোগিরা তাকে উদ্ধার করে সালমান হাসপাতালে ভর্তি করে।সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ২ দিন পর ২১ জুলায় তাকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।খবর পেয়ে তার বাবা হাফিজুর রহমান ছুটে যান সেখানে। কিছুটা সুস্থ্য হলে ২৭ জুলাই তাকে বাড়ী নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে সে বাড়ীতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার বাবা হাফিজুল ইসলাম জানান সে নিজে অসুস্থ্য সে কোন কাজ-কর্ম করতে পারেনা তার ছেলের আয়ে তার সংসার চলে। এখন সে তার ছেলে চিকিৎসা বা কিভাবে করবেন আবার সংসার চালাবেন কিভাবে। এ নিয়ে তিনি ও মহা দুঃচিন্তায় আছে। # #

মো,হাবিবুর রহমান