দ্বিতীয় বারের মত সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল মামুন
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির ত্রিবার্ষিক নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আরেফিন মিয়া মিলন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন। নির্বাচনকে ঘিরে দিনব্যাপী উৎসবের আমেজ ছিল শহরে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করায় নির্বাচন কমিশনার প্রশংসায় ভাসছেন।
জানা গেছে, আরেফিন মিয়া মিলন ছাতা প্রতিকে ৪৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন । সভাপতি পদে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হাজী মকবুল হোসেন দোয়াত কলম প্রতিকে পেয়েছেন ৪০৪ ভোট, সভাপতি পদে আরেক প্রতিদ্বন্দ্বি সাইফুল ইসলাম লিটন চাকা প্রতিকে পেয়েছেন ৯১ ভোট।
সহসভাপতি পদে দেয়াল ঘড়ি প্রতিকে সর্বাধিক ৫৮২ ভোট পেয়ে হাফিজুর রহমান ও চশমা প্রতিকে ৫৫২ ভোট পেয়ে হাজী রফিকুল আলম দ্বৈতভাবে সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের আর দুই প্রতিদ্বন্দ্বি কামরুজ্জামান হিরা মাছ প্রতিকে পেয়েছেন ২৮৮ ভোট ও হামিদুল ইসলাম মাস্টার বটগাছ প্রতিকে পেয়েছেন ২৮৫ভোট।
বাই সাইকেল প্রতিকে সর্বোচ্চ ৫২২ ভোট পেয়ে খন্দকার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি কামাল হোসেন আনারস প্রতিকে পেয়েছেন ৪৪৭ ভোট।
বাঘ প্রতিকে সর্বোচ্চ ৪৭৮ ভোট পেয়ে শরিফুল ইসলাম ও গোলাপ ফুল প্রতিকে ৪৫৬ ভোট পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম দ্বৈতভাবে সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের আর দুই প্রতিদ্বন্দ্বি বদর উদ্দিন হাঁস প্রতিকে পেয়েছেন ৩৮৪ ভোট ও বাবলুর রহমান ডাব প্রতিকে পেয়েছেন ৩৬৯ ভোট।
চেয়ার প্রতিকে সর্বোচ্চ ৫২৫ ভোট পেয়ে আমিরুল ইসলাম লিটন সাংগঠণিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আব্দুল লতিফ মই প্রতিকে পেয়েছেন ৪২৪ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে আলা উদ্দীন মোরগ প্রতিকে সর্বোচ্চ ৪৮৭ ভোট পেয়ে বিজয়ি হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিযোগি সোহানুর রহমান বাবুল হাতি প্রতিকে পেয়েছেন ৪৪৬ ভোট। ক্রীড়া সম্পাদক পদে হাবিবুর রহমান আম প্রতিকে সর্বোচ্চ ৫৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ি হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মাসুদ রানা ফুটবল প্রতিকে ৩৮৪ ভোট পেয়েছেন।
ধর্ম সম্পাদক পদে রেজাউল করিম কাবিল মিনার প্রতিকে সর্বোচ্চ ৫৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ি হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আসাদুল হক তারা প্রতিকে ৩৪৫ ভোট পেয়েছেন।
দপ্তর সম্পাদক পদে অ্যাড. শফিউল হাসান মিলন কলম প্রতিকে সর্বোচ্চ ৫০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ি হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ইফতেকার আহমেদ টিয়া প্রতিকে ৩৯৬ ভোট পেয়েছেন।
এছাড়া, বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল ওহাব কাবলু, জসিম উদ্দীন, জয়নাল আবেদীন ক্যাপ, ফারুখ হোসেন, রেজাউল হক তোতা, রতন আলী, সাইদুল ইসলাম, খোন্দকার সজীব, সিরাজুল ইসলাম, খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম।
বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিকী নির্বাচন চলাকালে বেলা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ।
বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক অপারেশ মোহাম্মদ ফরিদসহ পুলিশের একটি চৌকস টিম আইন শৃঙ্খলা স্বাভাভিক রাখতে সকাল থেকে রাতাবদি দায়িত্ব পালন করেছেন।
দ্বিতীয় বারের মত সভাপতি নির্বাচিত হয়ে অনেককেই হতবাক করে দিয়েছেন আরেফিন মিয়া মিলন মিয়া। তিনি পরপর দুটার্ম আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলেন। সাধারণত ক্ষমতায় থাকলে নানা কারণে জনপ্রিয়তা কমে। অথচ দ্বিতীয় বার বিজয়ী হয়ে সেই ধারণা পালটে দিয়েছেন তিনি। তার অহিংস, সৎ ও ভদ্র আচরণ সকলের সমীহ কেড়েছে। বিজয় মাল্য অক্ষুণন রাখতে পেরেছেন বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন।
প্রতিকুল পরিবেশেও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করায় প্রশংসায় ভাসছেন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম।
দীর্ঘ বছর ধরে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তিরোহিত। এমনকি আলমডাঙ্গায় দীর্ঘ বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনও হয় না ( অবশ্য দীর্ঘ বছর পর আলমডাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কয়েক মাস পূর্বে নির্বাচন হয়েছে)। অবাধ ও নিরোধক নির্বাচন যখন মানুষ যেন বিস্মৃত হচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে অবাধ ও নিরোধক নির্বাচন গ্রহণ করা ছিল যতেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। নির্বাচন কমিশনার খুব কঠোরভাবে এ কাজটি করতে পেরেছেন। প্রশ্নহীন এ দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি এখন প্রশংসায় ভাসছেন।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করায় দায়িত্ব পালনকারী নির্বাচন কমিশনার সিরাজুল ইসলাম সকল প্রার্থি, ভোটার ও সাংবাদিককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।