খাইরুজ্জামান সেতু/ কামরুজ্জামান চাঁদঃ
আঙ্গুর ফলটক কথাটি আমাদের কাছে বহুল প্রচলিত। যদি আমাদের কাছে কোন জিনিস দুস্প্রাপ্য হয়, তাহলে আমরা বলে থাকি আঙ্গুর ফল টক। বিষয়টি নিয়ে শিয়ালের একটি গল্প প্রচলিত। বাস্তবে আঙ্গুর ফল কখনো কখনো টক হয়, সাধারনত অষ্ট্রেলিয়া ভারত সহ বেশ কিছু দেশে মিষ্টি আঙ্গুরের চাষ হলেও এখন বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই।
বাংলাদেশে আঙ্গুর চাষই অকল্পনীয় তারপর আবার মিষ্টি আঙ্গুর অনেকটায় গল্পের মত হলেও বাস্তবে এর প্রতিফলন ঘটিয়েছেন চুয়াডাঙার বাগানপাড়ার সৌখিন আঙ্গুর চাষী এহসান হাবিব মানিক। সরেজমিন দেখা গেছে
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে বাগানপাড়াই নিজ বাড়ির উঠানে পরীক্ষামুলকভাবে মানিক মিষ্টি আঙ্গুরের গাছ লাগিয়েছিলেন আজ থেকে দুই’বছর আগে। এক বন্ধু খুলনা থেকে একটা চারা এনে তাকে দেই। শখের বসেই তার এই চাষ। প্রথম সাত আট মাসের মাথায় গাছ থেকে তিনি তিন থেকে চার কেজি ফল পান। আর স্বাদে বিদেশী আঙ্গুরের মতই মিষ্টি হওয়াই তিনি আশায় বুক বাধেন ।
চুয়াডাঙ্গা জেলার ভৌগলিক অবস্থান, আবহাওয়া ও মাটির বৈশিষ্ট সর্ম্প্কে নাজেনেই মানিক কৌতুলহলবশত শখের বশে আঙ্গুর মিষ্টি হওয়াই গাছটির পরিপূর্ণভাবে পরিচর্যা শুরু করেন। যারই ফলে ২বছরের মাথায় প্রথমবারের তুলনায় ৪/৫ গুণ আঙ্গুর ফল বেশী ধরে। আঙ্গুর ফল যখন পাকা শুরু করে, তখনই এলাকায় হইচই পড়ে যায়। কারণ আঙ্গুর ফলের স্বাদ মিষ্টি যেটা ইতিপূর্বে বাংলাদেশের কোথাও হয়নি। এরের থেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অফিসারসহ এলাকার অনেকেই দেখতে আসছে মানিকের আঙ্গুর বাগান। এতে মানিকও খুশি। মানিক চাই এই গাছ থেকে কাটিঙের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করে চুয়াডাঙ্গাসহ দেশেট বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে দিতে চাই বলে তিনি জানান।
আঙ্গুর গাছ দেখতে আসা দর্শনার্থী ও এলাকাবাসী জানান, মনিকের আঙ্গুরের মাধ্যমে আমরা ফরমালিনমুক্ত সু-স্বাদু আঙ্গুর খেতে পারছি। এখন দরকার উদ্দ্যেগ নেওয়া। উদ্দ্যেগ নিলেই এটা ব্যাপক আকারে উৎপাদন করা সম্ভব। অপর এক জানান মনিকের এই চাষে আমি উদ্বুদ্ধ হয়েছি। এবার তার কাছ থেকে চারা নিয়ে আমিও চাষ শুরু করব ভাবছি।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি-সম্প্রসারনের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহীন রাব্বি জানান, আমরা পরিদর্শন করেছি আঙ্গুরের স্বাদ যথেষ্ট ভালো আর আমরা পরামর্শ দিয়েছি কাটিং এর মাধ্যমে চারা উৎপাদন করতে সাবিক সহযোগিতা করা হবে।
ভাইয়া আঙ্গুর চাষের ফোন নাম্বার পাওয়া যাবে