দর্শনা অফিস: বাংলাদেশ টেলিভিশনের নিয়মিত লোক সংগীত শিল্পী ধীরু বাউল এবার ভারতের আসাম-বঙ্গ মৈত্রী সম্মেলনে বাউল গান গেয়ে দর্শক মাতালেন। আসাম-বঙ্গ মৈত্রী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২৬. ২৭ ও ২৮ এপ্রিল আসামের পাঞ্জাব শহরের সংকর দেব অডিটোরিয়ামে। দর্শনার কৃতি সন্তান ট্যালেন্ট হান্ড টপটেন বাউল ধীরু ২৪ এপ্রিল বেনাপোল সীমান্ত পথে ভারতের যান। ৩দিনের আয়োজনই বাউল সংগীত পরিবেশন করেন ধীরু বাউল। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আসাম রাজ্যের বিধান সভার স্পিকার ড. বিশ্বজিত দৈমারি। কোলকাতার বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. রাধাকান্ত সরকার সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্বজিত দৈমারী বলেন, বঙ্গ তথা বাংলার সংস্কৃতির সাথে তাল মিলিয়ে যদি আসামের সংগীত নৃত্য চলতে পারে, তাহলে আসামের সংগীত, বাংলা সংস্কৃতির মতো একদিন জনপ্রিয়তা অর্জন করবে। তিনি বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর, বাউল সম্রাট লালন ফকির, বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম, শাহ আব্দুল করিম, বিজয় সরকার, মান্নাদে, সতিনাথ, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কথা উল্লেখ করেন। ২৮ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে ধীরু বাউলের কণ্ঠে লালন শাহ’র গানের মধ্যদিয়ে শেষ হয় ৩দিনব্যাপী সম্মেলন। অতিথি ছিলেন আসাম রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার শ্রদ্ধেয় জননী. আসাম সাহিত্য সভার সভাপতি শ্রীমতি মৃনালিনী দেব, পদ্মশ্রী অজয় দেব, আসাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শ্রী যাদব শর্মা, প্রফেসর অমলেন্দ চক্রবর্তি, রবিন্দ্রনাথ সরকার, আসাম সংখ্যালঘু উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারপার্সন অধ্যক্ষ শিলাদিত্য দেব, আসাম সাহিত্য সংসদের সম্পাদক বিকাশ সরকার, আসাম সংগীত সংগঠক পারিজাত দাস, সুদিপ কুমার ঘোষ, পিন্টু ঘোষ প্রমুখ। ৩দিনের সম্মেলনে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতা, বর্ধমান, মালদা, জলপাইগুড়িসহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা অর্ধশত সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করেন। অতিথিদের হাত থেকে বাংলাদেশের বাউল শিল্পী ধীরু সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন।