সমকামী অধিকারকর্মী জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যা মামলায় চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াসহ ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়া (চাকরিচ্যুত মেজর), মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান, শেখ আব্দুল্লাহ, আসাদুল্লাহ, ও আকরাম হোসেন আবির। সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আল ইসলামের বিভিন্ন পর্যায়ের সক্রিয় সদস্য।
এছাড়া আসামি সাব্বিরুল হক চৌধুরী ও জুনাইদ আহমদ ওরফে মাওলানা জুনায়েদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে মেজর জিয়ার নির্দেশে সংগঠনের সামরিক শাখার সদস্যরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। তিনি পলাতক রয়েছেন।
২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের বাড়িতে ঢুকে ইউএসএইড কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু থিয়েটারকর্মী মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় কলাবাগান থানায় জুলহাজের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন হত্যা মামলা এবং সংশ্লিষ্ট থানার এসআই মোহাম্মদ শামীম অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করেন। নিহত জুলহাজ বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনার প্রটোকল অফিসার ছিলেন। নিহত তনয় নাট্য সংগঠন লোক নাট্যদলের শিশু সংগঠন পিপলস থিয়েটারে জড়িত ছিলেন। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পর ২০১৯ সালের ১২ মে সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের শীর্ষ নেতা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মুহম্মদ মনিরুল। পরবর্তীকালে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।