দর্শনা অফিস: দেশের ১৫টি রাষ্ট্রয়াত্ত চিনিকলের মধ্যে কুষ্টিয়া জগতি, পাবনা, শ্যামপুর, রংপুর, পঞ্চগর ও সেতাবগঞ্জ চিনিকল বন্ধের পরিকল্পনা করছে সরকার। যে কারণে ২০২০-২১ আখমাড়াই মরসুমে চিনিকলগুলোর মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন থেকে চিনিকলগুলোতে কোনো প্রকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণী পত্র দেয়া হয়নি। অবিলম্বে মিলগুলোতে লক্ষ্যমাত্রা পত্র প্রদান ও সহ ইক্ষু মাড়াইয়ের যাবতীয় ব্যবস্থার দাবিতে কেরুজ চিনিকলে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিক্ষাভ সমাবেশ ও মিছিল। সরকারের জানা উচিত চিনিকলগুলো বন্ধ করা হলে হাজার হাজার শ্রমিক-কর্মচারী যেমন পথে বসবে পরিবার-পরিজন নিয়ে, তেমনি অসংখ্য কৃষক লাভজনক আখচাষ থেকে হবে বঞ্চিত। পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়তো সেসব এলাকাগুলো। সরকারের এ ধরণের বৈরী সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবিতে আজ রাজপথে শ্রমিক-কর্মচারী, আখচাষিরাই নয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সুধীমহলসহ সর্বস্তরের মানুষ নেমেছে মাঠে। চিনিকল বন্ধের পরিকল্পনা বাতিল, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ, আখচাষিদের সময় মতো সার ও কীটনাশক বিতরণ, শ্রমিকদের সভাসমাবেশ করার অগাত স্বাধীনতা ও কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া শ্রমিক ছাটাই বন্ধ করার দাবিতে গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে কেরুজ ডিস্টিলারি গেটের সামনে অনুষ্ঠিত হয় বিক্ষোভ সমাবেশ। কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি তৈয়ব আলীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, যুগ্মসম্পাদক খবির উদ্দিন, সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, সহসভাপতি ফারুক আহমেদ, ওমর আলী, সভাপতি প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ সবুজ, হাজি আকরাম হোসেন, আমিনুল ইসলাম, আখচাষি কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আব্দুল হান্নান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, সহসভাপতি ওমর আলী প্রমুখ। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এছাড়া মিছিলকারীরা কেরুজ ডিস্টিলারি গেটের সামনের ইক্ষু অফিস চত্বরে টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করেছে। এছাড়া আজ মঙ্গলবার থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন কর্ম-বিরতি ও বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে বলে সমাবেশে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।