স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ছাগল তো নাচে, ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চাও নাচে। সে কী লাফ বাম দলের! যারা মানুষের কথা বলে, যারা খেটেখাওয়া মানুষের কথা বলে, আদর্শের কথা বলে, এরা আবার হাওয়া ভবনের যুবরাজের সাথে তার নেতৃত্বে আন্দোলন করে। এ সময় তিনি আরো বলেন, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে, খেলা হবে ভোট চোরের বিরুদ্ধে। আজিজ মার্কা কমিশনের বিরুদ্ধে খেলা হবে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। আমরা আর আগুন নিয়ে খেলতে দেবো না। বরগুনা সার্কিট হাউজ ঈদগাহ মাঠে গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সুর ও আওয়াজ আগের মতো নেই। এখন কমে গেছে। লন্ডনে এখন আর টাকা পাঠাতে পারছেন না ফখরুল সাহেব। ফখরুল সাহেব বরগুনার এই সম্মেলনে বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউ দেখে যান।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির কাজই অন্যের সমালোচনা করা। পদ্মা সেতু নিয়ে তারা কী ধরনের বিদঘুটে মন্তব্য করেছে, তা সবারই জানা। পদ্মা সেতু হয়েই গেল, এই পদ্মা সেতু পার হয়েই বিএনপির নেতারা বরিশাল গিয়েছিলেন। আপনাদের কি কোনো লজ্জা নেই? ঘরের কোণে বসে সমালোচনা না করে মাঠে আসুন, খেলা হবে। ডিসেম্বরের পর খেলা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়ে গেছে। এখন আর কষ্ট পোয়াতে হয় না। আর কিছু দিন পরই ফরিদপুর থেকে কুয়াকাটা রেল লাইনের কাজ এসে পড়বে এই দক্ষিণ অঞ্চলে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রূপকার। শেখ হাসিনার সরকার শুধু পদ্মা সেতু করেই থেমে থাকেনি। এ সরকারের আমলে বরিশাল থেকে কুয়াকাটা সড়কে তিনটি সেতু, লেবুখালীতে শেখ হাসিনা সেনানিবাস, বরিশাল সিটি করপোরেশন, পায়রা সমুদ্রবন্দর, বরগুনার বহুল প্রতীক্ষিত ২৫০ শয্যার হাসপাতালসহ অসংখ্য উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনা সরকারের বিকল্প নেই।
দীর্ঘ আট বছর পর অনুষ্ঠিত বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান, গোলাম রব্বানী চিনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।