মাথাভাঙ্গা ডেস্ক:
চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ সারাদেশে শ্রদ্ধা ভালোবাসায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ; মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত এবং আলোচনা সভাসহ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে।
গতকাল শুক্রবার বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন এবং শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, শেখ কামালের নীতি ও আদর্শ অনুসরণ করে আমাদের যুব সমাজ নিজেদের গড়ে তুলবে এবং শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বাংলাদেশের মর্যাদাকে আরো সমুন্নত করবে। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বিকেলে মেহেরপুরের মুজিবনগর কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন বলেন, মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধের সরকার। স্বাধীনতার পক্ষের সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেথ হাসিনা আছেন বলে মুজিবনগর আছে। মুজিবনগর আছে বলেই আপনারা মন্ত্রী পেয়েছেন। মুজিবনগরের কথা বললে বাংলাদেশের সব সেক্টরে আপনারা সুবিধা পান। শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে সব সময় কাজ করছেন। দেশের উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমাদের দুর্ভাগ্য মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি বাংলাদেশের রুপকার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এই মাসে সপরিবারে খুন করেছে। তারা আমাদের জাতীয় চার নেতাকে খুন করেছে। এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ক্ষমতায় গিয়ে বারবার বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিয়েছে। আজ ক্ষমতায় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকলে আপনারা বিদ্যুৎ পাইতেন না। শান্তিতে ঘুমোতে পারতেন না। এ সরকার উন্নয়নের সরকার। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু বানিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হবে। আমাদের পিতারা মেহেরপুরকে আওয়ামী লীগের দূর্গ বানিয়ে গেছেন। আমাদের সেটা ধরে রাখতে হবে।
মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতার সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহীম শাহিন, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাগোয়ান ইউপি চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা অ্যাড. রুত শোভা, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি তকলিমা খাতুন, সাধারণ সম্পাদিকা তহমিনা খাতুন, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জাহিদ হাসান রাজিব, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবুল কালাম, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ সাকিব প্রমুখ। পরে সেখানে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মুজিবনগর কমপ্লেক্স মসজিদের ইমাম মাওলানা মতিউর রহমান।
এদিকে, এ উপলক্ষে শুক্রবার বেলা ১০টায় চুয়াডাঙ্গা ডিসি সাহিত্য মঞ্চে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে কম্পিউটার ট্রেডে সার্টিফিকেট বিতরণ এবং বনজ, ফলজ ও ওষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
এরপর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় স্মৃতিচারণমূলক আলোচনাসভা। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. আবু তারেক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাজিয়া আফরীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান, সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ রেজাউল করিম এনএসআই উপপরিচালক জামিল সিদ্দিক ও সদর ইউএনও শামিম ভূইয়া বক্তব্য রাখেন। এ সময় ম্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুম আহমেদ।
আলোচনাসভা শেষে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের শাহিন রেজা, রজনী খাতুন, সাইফুর রহমান, তহমিনা খাতুন ও রকিবুল ইসলামের হাতে গাছের চারা তুলে দেন জেলা প্রশাসক। এছাড়া কম্পিউটার ট্রেডে শারমিন অঅক্তার, তৌহিদুর রহমান, উম্মে ফাহিমা, টিপু সুলতান, মিমি খাতুন ও মাহিন রেজাকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, শেখ কামালের দেশপ্রেম যুবসমাজকে জানাতে হবে। তার আদর্শ নিয়ে কাজ করি তাহলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বংলা গঠনে ভূমিকা রাখবে। তারুণ্যের প্রতীক শেখ কামাল ক্রীড়া সংগঠক ও সাংস্কৃতিক মনা ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। এ সরকার আসার পর দেশের সঠিক ইতিহাস জানতে পারছি। শেখ কামাল ২৬ বছর ১০ দিনে দেশ সেবার মতো কিছু না। তিনি মুক্তিযদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ পুর্নগঠনে অংশ নিয়েছেন। কালো অধ্যায় ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সাল। এই মাসে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের ১৫ জন শহীদ হন।
এর আগে ডিসি সাহিত্য মঞ্চে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসনের পক্ষে প্রথমেই শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এরপর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জাহিদুল ইসলাম, জেলা পরিষদের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম ভূইয়া সদর উপজেলা পরিষদের পক্ষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, সিভিল সার্জন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ, স্বাস্থ্য বিভাগের বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ বিভাগ, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বিভাগ, বিআরটিএ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, এলজিইডি, সড়ক বিভাগ, ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জেলা কারাগার, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র টিটিসি। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ। এ সময় কোর্টবিল্ডিং ওয়াক্তিয়া মসজিদের ইমাম কবির হোসেন দোয়া পরিচালনা করেন।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার বিকেল চারটায় চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের উদ্যোগে নতুন স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। পরবর্তীতে বাদ মাগরিব জেলা যুবলীগের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘শহীদ শেখ কামাল দেশের ক্রীড়াঙ্গনের মানোন্নয়নে অক্লান্ত শ্রম দিয়ে অপরিসীম অবদান রেখেছিলেন। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে এইদিনে দামুড়হুদার নাটুদহে আটজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মুখ সমরে শহীদ হন। আজকের এইদিনে আমরা তাদেরসহ সব শহীদদের শ্রদ্ধাভারে স্বরণ করি।
জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলুর সভাপতিত্বে ও হাফিজুর রহমান হাপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবলীগের সদস্য আজাদ আলী, আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ, আলমগীর আজম খোকা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগ নেতা পিরু মিয়া, শেখ শাহী, মাসুদুর রহমান মাসুম, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল ইমরান শুভ, হাসনুল ইসলাম পলিন, বিপ্লব হোসেন, জুয়েল জোয়ার্দ্দার, রামিম হাসান সৈকত, সামিউল শেখ সুইট, খালিদ ম-ল, দর্শনা পৌর যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলম বাবু, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সদস্য সালাউদ্দিন, চুয়াডাঙ্গার পৌর কাউন্সিলর কামরুজ্জামান চাঁদ, দর্শনা পৌর কাউন্সিলর সাব্বির হোসেন মিকা, খালেক হোসেন, বিল্লাল হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক খানজাহান আলী, ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আব্দুল আলিম, সাধারণ সম্পাদক মিঠু শেখ, ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আসাদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ বিপ্লব, যুবলীগ নেতা দিপু বিশ্বাস, জাকির হোসেন, রনি, জামাল, মিন্টু, মুন্না, নুরু, রনি পারভেজ, সজল, সজিব, হাসান, নাজমুল, আলো, নোমান, হাসিব, লিপ্টন, আলী, সরোয়ার, মাহফুজ, হাসিব, কাজল, জনি, সাহেব, শিকদার, আলতাফ, ইব্রাহিম, রবিন, লাল্টু, বাচ্চু, জিনারুল, সাব্বির, বিপ্লব, মখলেস, রুহুল, ইমন, আকাশ, রুবেল, সঞ্জু, তানজিল, সুশান্ত, সোহাগ, জুয়েল, আলিফ, ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার শেখ, শাওন রেজা কবির, ইমরান, মিলন, ওয়াসিম, শাকিল, আবির, ইসাহাক, রজব, রতন, সুজন, টিলু প্রমুখ। আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধুপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা নতুন স্টেডিয়াম জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ ওমর ফারুক।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। ৫ আগস্ট শুক্রবার সন্ধ্যায় দলীয় অফিসে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুসার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টারের উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালেক, নুরুন নবী, ফরিদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সালমুন আহম্মেদ ডন, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আশরাফুল হক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সম্পাদক সাইরাজ মেহেদী লাভলু, যুবলীগ নেতা সৈকত খান, মনিরুল, নুর আলম, বাপ্পি, কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হোসাইন বাদশা, ছাত্রলীগ নেতা রকি আহমেদ, আব্দুল্লাহ আল সাকিব, সজীব, অটাল, শিহাব, রোমান, অন্তর, সাগর, মিরাজুল ইসলাম রঞ্জু, ফারুক, মশিউর রহমান, জজ, লোকমান হোসেন, সোহল, কাসেম, সেন্টু, আরিফ, খাইরুল ইসলাম, কিবরিয়া, গালিব, সবুজ, সেতু, শামিম, শাওন, আওলাদ, চাঁদ প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা লুৎফর রহমান।
অপরদিকে, নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে আলমডাঙ্গায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহমেদ ডনের নেতৃত্বে প্রথমে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে পরিষদের হলরুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূরের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শেখ কামেলের জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার সালমুন আহমেদ ডন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আব্দুল আলিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অগ্নিসেনা মইনুদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নূর মোহাম্মদ জকু, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল কাফি, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী, ইউ আর সিসি ইন্সপেক্টর জামাল উদ্দিন, নির্বাচন কর্মকর্তা এজিএম মোস্তফা ফেরদৌস, মৎস্য অফিসার ফাতেমা কামরুন নাহার আঁখি।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত, বিআরডিবি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন, তথ্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধ দাস, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা দেওয়ান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক শেফালী খাতুন, পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রাশেদুল ইসলাম, পল্লী বিদ্যুতের ডি জি এম আবু হাসান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, পল্লী বিদ্যুতের এজিএম অপারেশন শফিক কালাম, ইউসি শফিউর রহমান, প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন, হাসানুজ্জামান, এমটিএস সোহরাব হোসেন, তারেক চৌধুরী। পরে দিনটি উপলক্ষে দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত ও যুব সংগঠনের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করা হয়। বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, দামুড়হুদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ কামালের ৭৩তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ, প্রশাসন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগ, দামুড়হুদা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা, দামুড়হুদা প্রেসক্লাব, দামুড়হুদা মডেল থানা, দর্শনা থানা, দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, দামুড়হুদা পাইলট সরকারি হাইস্কুলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার সিংহ’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আছির উদ্দীন, দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সভাপতি এম নুরুন্নবী, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ, দর্শনা থানার ওসি লুৎফুল কবীর, উপজেলা প্রকৌশলী খালিদ হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মতিনসহ সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানগণ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রশিদ। দোয়া পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের ইমাম মাও আশরাফুল আলম।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং তার জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মৃতিচারণ ও আলোচনাসভা। শুক্রবার সকাল ১০টার সময় শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে প্রথমে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার সময় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি মো. হাফিজুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. জাকির উদ্দীন মোড়ল, একাডেমিক সুপারভাইজার মো. আব্দুল জব্বার প্রমুখ।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, শেখ কামাল ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। তিনি একদিকে ছিলেন উচ্চশিক্ষিত, নাট্যব্যক্তিত্ব, ক্রীড়া সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, রেজিমেন্টেড কর্মকর্তা ঠিক তেমনি ছিলেন একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও গাছের চারা বিতরণের মধ্যদিয়ে মেহেরপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিশেষভাবে তৈরি মঞ্চে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি সর্বপ্রথম পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এর পরপরই জেলাবাসীর পক্ষে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, পুলিশ বিভাগের পক্ষে পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এছাড়াও মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন পৌরসভার পক্ষে, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম সদর উপজেলার পক্ষে, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দলের পক্ষে জেলা কমান্ড্যান্ট সাহাদাত হোসেন এবং জাতীয় মহিলা সংস্থা, টিটিসিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
পরে এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃধা মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, মেহেরপুর জেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক, পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী প্রমুখ। পরে সেখানে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
এরপর জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ করা হয়। মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুরে-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গাছের চারা বিতরণ করেন। এ সময় সেখানে অন্যান্যের মধ্যে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, সিভিল সার্জন ডা. জওয়াহেরুল আলাম সিদ্দিক, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কেএম জাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাইট স্টারের উদ্যোগে মল্লিকপাড়া, ০৭নং ওয়ার্ড মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। এদিন বিকেলে মেহেরপুর কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল মাঠে মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়। পৌর কাউন্সিলর নুরুল আরশাফ রাজিব উপস্থিত থেকে মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। টুর্নামেন্টে মোট ১৮টি ক্লাব অংশগ্রহণ করছে। উদ্বোধনী খেলায় রোলেক্স এন্টারপ্রাইজ জয়লাভ করেছে। খেলার রোলেক্স এন্টারপ্রাইজ ৩-০ গোলে সেভেন স্টার কে পরাজিত করে। বিজয়ী দলের রোমিও দুটি এবং জিম একটি গোল করেন।
শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিসের যৌথ উদ্যোগে ভলি খেলার আয়োজন করা হয়। এদিন বিকেলে মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে গাংনী উপজেলা একাদশ এবং মুজিবনগর উপজেলা একাদশের মধ্যে ভলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা গাংনী একাদশ ২-১ সেটে মুজিবনগর একাদশকে পরাজিত করে। এর আগে জেলা ক্রীড়া অফিসার আরিফ আহমেদ খেলার উদ্বোধন করেন। এ সময় সেখানে অন্যদের মধ্যে জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ, মুজিবনগর অগ্রণী ব্যাংকের ম্যানেজার কাজি আরিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় মুজিবনগর উপজেলা হলরুমে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুর রবের সঞ্চলনায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মুজিবনগর থানা ইনচার্জ (ওসি) মো. মেহেদী রাসেল, উপজেলা কৃষি অফিসার আনিসুজ্জামান খান, মুক্তিয়োদ্ধা হারুন অর রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। এর আগে মুজিবনগর উপজেলা কার্যালয়ের সামনে বিশেষভাবে তৈরি মঞ্চে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার ও মুজিবনগর থানা ইনচার্জ (ওসি) মো. মেহেদী রাসেল প্রথম পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এছাড়াও মুজিবনগর টেকনিক্যাল স্কুল ও উপজেলা কৃষক লীগ পক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে সেখানে দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মতিউর রহমান।