করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় সারা দেশে চলছে সর্বাত্মক লকডাউন। চলাচল ও বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে আরোপ করা হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। তবে ব্যাংক, শিল্পকারখানা ও হাসপাতালে কাজ চলছে। জরুরি সেবা খাতগুলোও খোলা রয়েছে। এ কারণে অনেকেই জরুরি প্রয়োজনে বের হচ্ছেন। কারা বাইরে বের হতে পারবেন, কারা পারবেন না, এ নিয়ে ভুল–বোঝাবুঝির ঘটনাও ঘটছে। পুলিশ এমন অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে, যারা জরুরি সেবার আওতায় পড়েছেন। পরিপ্রেক্ষিতে বিধিনিষেধের আওতামুক্ত ব্যক্তি কারা ও প্রতিষ্ঠান কোনগুলো সেটি জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। ১৮ শ্রেণীর মানুষের চলাচলে মুভমেন্ট পাস প্রয়োজন নেই। শুধু পরিচয়পত্র দেখালে কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করতে পারবেন।
চলমান লকডাউনের বিধিনিষেধের আওতামুক্ত যারা
১. ডাক্তার
২. নার্স
৩. মেডিকেল স্টাফ
৪. কোভিড টিকা/চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/স্টাফ
৫. ব্যাংকার
৬. ব্যাংকের অন্যান্য স্টাফ
৭. সাংবাদিক
৮. গণমাধ্যমের ক্যামেরাম্যান
৯. টেলিফোন/ইন্টারনেট সেবাকর্মী
১০. বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী
১১. জরুরি সেবার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারী
১২. অফিসগামী সরকারি কর্মকর্তা
১৩. শিল্পকারখানা/গার্মেন্টস উৎপাদনে জড়িত কর্মী/কর্মকর্তা
১৪. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য
১৫. ফায়ার সার্ভিস
১৬. ডাকসেবা
১৭. বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি/কর্মকর্তা
১৮. বন্দর–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/কর্মকর্তা
চেকপোস্টে যেসব পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে ব্রিফিং করার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। এই সময়ে বাইরে বের হলেই জরিমানা গুনতে হচ্ছে মানুষকে। আজও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা কার্যকর করা হয়েছে।