মানুষ খোঁজখবর নেয়ার আগে জানতে চায় নির্বাচন কবে: দুদু

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আগে কারো সাথে দেখা হলে মানুষ শরীর-পরিবারে খোঁজখবর নিতেন। আর এখন মানুষ আগে জানতে চায় নির্বাচন কবে হবে। গতকাল শনিবার রাজধানী রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে ডুয়েট প্রাক্তন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এসোসিয়েশন (ডেজা)। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, নির্বাচন কবে হবে। কারো সাথে দেখা হলে আগে মানুষ তার শরীরের, তারপর পরিবারে খোঁজখবর নিতেন। এখন মানুষ আগে জানতে চায় নির্বাচন কবে হবে। অবশ্য আমাদের প্রধান উপদেষ্টা নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে’। তিনি বলেন, যারা পতিত সরকার ছিল তারা বাংলাদেশকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে। তারা আর কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে আমরা হয়তো দাসত্বের চূড়ান্ত চুক্তিতে নিবেদিত হতাম। এমন একটা অবস্থায় ২৪ এর মহাপ্লাবন, ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ১৭ বছরের ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেছে। সে সময় মনে হয়েছে স্বাধীনতার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান সাহসিকতা দেখিয়েছেন। একাত্তরের ২৬ শে মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বলেছিলেন, ‘আমি মেজর জিয়া বলছি, স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম’। সেই স্বাধীনতা গণতন্ত্রের জন্য। সেই স্বাধীনতা মানুষের অধিকারের জন্য। ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমরা স্বাধীনতার পর দেখেছি, অনেকে একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল, আর আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়েছিলেন। সেই নেতা বাংলাদেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিএনপির এই নেতা বলেন, ৭২ থেকে ৭৫ সালে যিনি একদল কায়েম করেছিলেন তারই কন্যা শেখ হাসিনা ১৭ বছর বাংলাদেশের মানুষের টুটি চেপে ধরে রেখেছিল। ২৪ সালের ৫ আগস্ট তিনি পালিয়ে গেছেন। যদিও পালিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বলেছিলেন, ‘শেখ মুজিবের মেয়ে পালায় না’। শুধু পালায় নাই। বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এ সময় ‘আমরা যেন আবার একক কর্তৃত্বের মধ্যে না পড়ি’ সবাইকে এ আহ্বান জানান সাবেক এই সংসদ সদস্য। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য সন্তান, যোগ্য উত্তরসূরী জননেতা তারেক রহমান বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের ভিত্তিতে আনার চেষ্টা করছেন। ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন রাজউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সালাম খান, নেয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া, হেলাল উদ্দিন তালুকদার, নাজমুল হুদা খন্দকার, মো. মাঈনউদ্দিন, মো. ইসমাঈল হোসেন বিদ্যুৎ প্রমুখ।