স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার ৪১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক, আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা ও দোয়া। ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে আমি দেশে ফিরেছিলাম। কারণ, এটা আমার বাবার স্বপ্ন ছিলো। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি মিলনায়তনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় তিনি এ কথা বলেন। সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যোগ দেন তিনি। ১৯৮১ সালের ১৭ মে নির্বাসিত জীবন থেকে ফিরে আসার দিনটির কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন আমি বিমানবন্দরে অবতরণ করি, তখন আমি আমার নিকটাত্মীয়দের কাউকে পাইনি। কিন্তু লাখো মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এটাই আমার একমাত্র শক্তি এবং আমি এই শক্তি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।’ দেশে ফেরার পর তিনি দেশব্যাপী সফরের সময় নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘তবে আমি বাংলাদেশের মানুষের আস্থা, ভালোবাসা পেয়েছি। কত অপপ্রচার, কত কথা, কত কিছু তার পরেও বাংলাদেশের জনগণ তার ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছেন।’
শিক্ষাজীবন থেকে রাজনীতি এবং মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করলেও এতো বড় দায়িত্ব নেওয়ার কথা কখনো তার ভাবনাতেও ছিল না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ১৭ মে দেশে ফিরে দেশের মানুষের জন্য তাকে কিছু করতে হবে। তিনি বলেন, লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত এ দেশের স্বাধীনতা, কখনো ব্যর্থ রাষ্ট্র হতে পারে না। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের নাগরিকরা সবসময় বিশে^ মাথা উঁচু করেই চলবে। করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং দেশে দেশে মুদ্রাস্ফীতি এবং খাদ্য সংকটের প্রসঙ্গ টেনে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং দেশবাসীকে মিতব্যয়ী হওয়ারও পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
চুয়াডাঙ্গায় জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসির উদ্দিন আহম্মেদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান ও মাসুদউজ্জামান লিটু বিশ্বাস, দফতর সম্পাদক অ্যাড. আবু তালেব বিশ্বাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. তালিম হোসেন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক হাবিল হোসেন জোয়ার্দ্দার, উপ-প্রচার সম্পাদক মো. শওকত আলী বিশ্বাস, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম জহুরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন হেলা, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদী মিলি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা নুরুন্নাহার কাকলী, জাতীয় মহিলা সংস্থা চুয়াডাঙ্গার সভাপতি নাবিলা রুকসানা ছন্দা, মহিলা নেত্রী সাথি, জেলা শ্রমিক লীগে সভাপতি আফজালুল হক বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক রিপন ম-ল, শ্রমিক নেতা আব্দুস সালাম, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন, সাধারণ সম্পাদক গিণি ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন ও জাহানারা খাতুন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের, যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম আসমান, মিরাজুল ইসলাম কাবা, শাকিল আহম্মেদ টিপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক, রাজু আহমেদ, সোয়েব রিগান, সোহেল ও মিঠুন।
জেলা যুবলীগের সদস্য হাফিজুর রহমান হাপুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু, আজাদ আলী ও আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ। আরও বক্তব্য দেন সাবেক কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও যুবলীগ নেতা আল ইমরান শুভ, যুবলীগ নেতা খালিদ ম-ল ও ছাত্রলীগ নেতা শাওন রেজা কবীর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলুকদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা শান্তি, জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মকলেছুর রহমান শিলন, যুগ্মআহ্বায়ক বকুল হোসেন, যুগ্মআহ্বায়ক আনারুল, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সদস্য সালাউদ্দীন, আল আমিন, পদ্মবিলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির বনফুল, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সুমন মেম্বার, সহসভাপতি বিপ্লব হোসেন, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুদ রানা মাসুম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, গড়াইটুপি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাশেদুর জামান পলাশ, নেহালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলী, খাদিমপুর ইউনিয়ন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি কামাল হোসেন, যুবলীগ নেতা লিটন মাস্টার, সাগর, মোমিনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোমিন, ছোট, বাড়াদী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক শরীফ হোসেন, গাংনী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বজলুর রহমান, ইয়ামিন, মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জাকির, সোহাগ, বেগমপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শামীম মিজি, পৌর তিন নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি রানা, সাধারণ সম্পাদক খান জাহান, ৫নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আলিম, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন, সাংগঠনিক সম্পাদক রনি, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আসাদ, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান চাঁদ, যুবলীগ নেতা পিরু মিয়া, শেখ শাহী, মাসুদুর রহমান মাসুম, রামীম হাসান সৈকত, সামিউল শেখ সুইট, শেখ রাসেল, দিপু বিশ্বাস, জামাল খান, ডলার, লোকমান, সুমন, নোমান, ইমরান, সাদিকুর জ্যাকার, হিরা, মুন্না, হাসান, সজিব, সজল, সাকিব, বাচ্চু, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আনোয়ার শেখ, ছাত্রলীগ নেতা মৃদুল ইসলাম সৌরভ, ওয়াশিম, আতাউর রহমান বিপুল, পিয়াশ, সিয়াদ, রেজাউর রহমান মিলন, সাকিব, মাহফুজসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীবৃন্দ।