মহেশপুর প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে মানবপাচারের সময় ৪ দালালকে আটক ও ৫ ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে শ্যামকুড় বিওপি। গত সোমবার দিনগত রাতে তাদেরকে আটক করা হয়।
থানা ও বিজিবিসূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর ও নড়াইল থেকে ভালো চাকরি দেয়ার নাম করে ভারতে পাচারের সময় শ্যামকুড় বিওপির নায়েব সুবেদার মকবুলের নেতৃত্বে টহল দল ৪ দালালকে হাতেনাতে আটক করে এবং ৫ ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন মহেশপুর উপজেলার পাতিবিলা গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে কিতাব আলী (৪২), বাঘাডাঙ্গা গ্রামের হায়দার খলিফার ছেলে মাজেদুল খলিফা, লতিফ ম-লের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৮) ও মাইলবাড়িয়া গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে সুমন দর্জি (৩২)।
এ মামলায় পলাতক আসামিরা হয়েছে শ্রামকুড় গ্রামের করিম খন্দকারের ছেলে খসু (৩৫), খসবারীর ছেলে রাজিব (৩০), ইউসুফ আলীর ছেলে জামাল (২৫), বাবুল মীরের ছেলে জাবেদ (৩০), সেজিয়া আমিননগরের আবুল হোসেনের ছেলে নাসির উদ্দিন বাদলসহ (৫১) ও অজ্ঞাত আরও ২-৩জন।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, আসামিরা ভিকটিমদেরকে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে ভারতে পাচার করছিলো। এসময় তারা বিজিবির হাতে আটক হয়। পলাতক আসামিদেরকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল কামরুল আহসান জানান, মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট মানবপাচার করে আসছে। তারই একটি গ্রুপ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাইলবাড়িয়া টাঙ্গাইলপাড়া থেকে ৪ জনকে আটক করা হয় এবং ৬-৭ জন পালিয়ে যায়। অসৎ উদ্দেশে এদেরকে ভারতে পাচার করা হচ্ছিলো। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে টাঙ্গাইল জেলার ২৭ বছরের এক নারী এ প্রতিবেদককে জানান, গাজীপুর চৌরাস্তার এক ছেলে তার নামে পাসপোর্ট বানিয়ে তাকে ভারতে নিয়ে ইউরোপ কান্ট্রিতে পাঠানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছিলো। তিনি আরও জানান, ঐ দালালের সাথে তার মোবাইলে কথা হয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে বিকাশে টাকা লেনদেন হয়েছে। মহেশপুর সীমান্তে দালালদের সাথে সে মোবাইলে যোগাযোগ করে দিয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জলিলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘ভিকটিমদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে নেওয়া হচ্ছে। আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে।’