স্টাফ রিপোর্টার: মাঘের মাঝামাঝিতেই বিদায়ের গীত গাইছে শীত ঋতু। বিদায়ের আগে জেঁকে বসেছে ঠান্ডা। উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কুয়াশায় তাপমাত্রার পারদ ক্রমেই নামছে নিচে। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাঘের মাঝামাঝিতে আরও এক চোট ঠান্ডা যে পড়তে চলেছে তার আভাস মিলেছিল গত সপ্তাহেই। শীত বিদায়ের আগে আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আভাস এসেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, মাঘ মাসের মাঝামাঝি চলছে। ইতোমধ্যে শীতের অনুভূতিও বেড়েছে। বিদায়ের আগে আরেক দফা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। ২৮ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এমন আবহাওয়া বিরাজ করবে। এরপর শীত বিদায় নিতে পারে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মাঘের তীব্র শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে জনজীবন। উত্তরের হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। এক সপ্তাহ ধরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করলেও গতকাল তা ঠেকে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ ছাড়া এদিন চুয়াডাঙ্গায় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে ৯, রাজশাহীতে ৯, রংপুরে ৯ দশমিক ৫, নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে ৯ দশমিক ৫, নওগাঁ জেলার বদলগাছিতে ৯ দশমিক ৫, শ্রীমঙ্গলে ১০ এবং যশোরে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, মাঘের মাঝামাঝিতে এমনিতেই সারাদেশে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে বৃহস্পতিবার থেকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি এই মৌসুমের তৃতীয় শৈত্যপ্রবাহ।