স্টাফ রিপোর্টার: দেশের বিভিন্ন স্থানে শনিবার গণমিছিল করেছে বিএনপি। সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে যুগপৎ আন্দোলনের এটি প্রথম কর্মসূচি ছিলো দলটির। সারা দেশের জেলা ও মহানগরে একই কর্মসূচি পৃথকভাবে পালন করেছে জামায়াতে ইসলামীও। বিভিন্ন জেলায় গণমিছিলে পুলিশ বাধা দেয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিপেটা (লাঠিচার্জ) করে। এছাড়া রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনায় বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। আটক করা হয় শতাধিক নেতাকর্মীকে। পঞ্চগড়ে গণমিছিলে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সময় আব্দুর রশিদ আরেফিন (৫০) নামের এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়। তিনি জেলার বোদা উপজেলা ময়দানদীঘি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এ ঘটনায় পুলিশসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। বিএনপি দাবি করে পুলিশের গুলিতে আরেফিনের মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, আরেফিন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গাজীপুরেও টিয়ার গ্যাস ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ গণমিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পথচারীসহ ২৫/৩০ জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। পিরোজপুরে বিএনপি ও ছাত্রলীগের মধ্যে পালটাপালটি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির ৩০ নেতাকর্মী আহত হন। গ্রেফতার করা হয় অন্তত ১১ জনকে। ৫টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ। মাগুরা, নীলফামারী, মুন্সীগঞ্জ, ভোলা, নোয়াখালীসহ বেশ কয়েকটি জেলার কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয়।