বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেটে একটি জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে,গবেষকরা দাবি করেছেন, করোনা সৃষ্টিকারী ভাইরাস সার্স-কোভ-২ মূলত বাতাসেই ছড়াচ্ছে। এর উপযুক্ত প্রমাণও হাতে এসেছে গবেষকদের।
ড্রপলেটের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর প্রবণতা এখন প্রথম সারির দেশ গুলোয় নেই বললেই চলে। এর যথেষ্ট প্রমাণও পাওয়া গেছে।
‘কোঅপারেটিভ ইন্সটিটিউট ফর রিসার্চ ইন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস’-এর কেমিস্ট জোসে লুই জিমেনেজ বলেন, ”খুব দ্রুত এই বিষয়টি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়াও অন্যান্য হেলথ এজেন্সির দেখা উচিত। জনগণকে সচেতন করার সময় বায়ুবাহিত এই সংক্রমণের বিষয়টি সবার নজরে আনা উচিত তাদের। তাহলেই করোনা সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব।
কোনো ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়ালে সহজেই তা পরিবেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভাইরাসে আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি কথা, গান বা জোরে চিৎকার বা নিশ্বাস ছাড়লে সেই বায়ুকণা থেকেই সংক্রমণ ছড়ায়।
গবেষকদের মতে, ভেন্টিলেশন, এয়ার ফিল্টারেশনই এর থাকা বাঁচার পথ। এমনকি এই পরিস্থিতিতে ঘরে থাকলেও সবার মাস্ক পরে থাকাটাই বাঞ্ছনীয়।সেক্ষেত্রে মাস্কের কোয়ালিটির দিকেও নজর দিতে হবে। কেউ সংক্রমিত ব্যক্তির কাছে গেলে পিপিই পড়াটা বাধ্যতামূলক। অন্যথায় নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন তিনি।
নতুন এই গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বাইরের থেকে ঘরের ভিতরে সংক্রমণের হার বেশি। তবে ঘরে ভেন্টিলেশন ভালো হলে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা কম।