স্টাফ রিপোর্টার: আজ ১০ জানুয়ারি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এ বছর দিবসটির ৫০ বছর পূর্তি হলো। ১৯৭২ সালের এই দিনে তিনি পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তিলাভ করে শহীদের রক্তস্নাত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন। জীবন-মৃত্যুর কঠিন চ্যালেঞ্জের ভয়ঙ্কর অধ্যায় পার হয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে দেশে ফিরলে অধীর অপেক্ষায় থাকা লাখো মানুষ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স (সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) ময়দান পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে সংবর্ধনা জানান।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর হামলা শুরু করে। ২৬ মার্চ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা ঘোষণার অব্যাহিত পর পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক জান্তা বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগারে আটক রাখেন। কিন্তু দল-মত নির্বিশেষে বাঙালিদের কঠোর আন্দোলনের মুখে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে বিকেল ৫টায় রেসকোর্স ময়দানে তিনি ভাষণ দেন। সশ্রদ্ধ চিত্তে বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতার জন্য সবার ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং সবাইকে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করেন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
প্রতি বছরের মতো এবারো দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন এবং সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন; সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।
এছাড়াও আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সীমিত পরিসরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।