অস্ত্র আইনের শর্ত ‘ভঙ্গ’ করায় পাবনায় গণপূর্ত ভবনে অস্ত্র নিয়ে ঢোকা সেই আওয়ামী লীগ নেতাদের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় চালানো তদন্তে অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান জানান, অস্ত্রগুলির লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি গণপূর্ত কর্তৃপক্ষ। পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান জানান, পাবনা গণপূর্ত বিভাগে ঠিকাদার আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রবেশের ঘটনা জানার পরই বিষয়টি তদন্ত শুরু করে জেলা পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, ব্যক্তিগত অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয় কেবল জানমালের নিরপত্তার স্বার্থে। সরকারি দপ্তরটিতে জানমালের ক্ষতি হবার কোনো আশঙ্কা ছিল না। তাদের সঙ্গে ২৫ থেকে ৩০ জন লোকও ছিল। “অস্ত্রের মালিকগণ সেখানে অস্ত্র বহনের যৌক্তিক কোনো কারণ দেখাতে পারেননি।”
পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, পুলিশের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
গত ৬ জুন দুপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন এবং জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুর নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে গণপূর্ত ভবনে আসেন। তারা বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করে নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমকে খুঁজতে থাকেন। তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েই উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কক্ষে যান এবং কিছুক্ষণ পর বের হয়ে যান।
লিখিত অভিযোগ না থাকলেও পুলিশ নিজ উদ্যোগে ঘটনা তদন্তে নামে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়লে জেলা আইনশৃংখলা কমিটির বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন হয়; তখন জেলাজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়।