নির্বাচন কমিশনার গঠনে দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত
স্টাফ রির্পোর্টার: প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে নাম সুপারিশের জন্য গঠিত অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দেশের ৫০ থেকে ৬০ জন বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে তারা বৈঠকে বসবে। ই-মেইল ও অন্যান্য মাধ্যমে বুধবার থেকে বিশিষ্টজনদের বৈঠকে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে দ্বিতীয় বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান কমিটির সাচিবিক সহায়তার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এদিন বিকেল ৪টার পর কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসে সার্চ কমিটি। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম-কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর ১০ জন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের সঙ্গেও বৈঠকে বসবে সার্চ কমিটি। রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কতজনের নাম এসেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে এ পর্যন্ত ৩০ জনের নাম এসেছে। এছাড়া আগামী শনি ও রোববার সার্চ কমিটির পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেয়ার জন্য নাম সুপারিশ করতে সার্চ কমিটি গঠন করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেই সার্চ কমিটি প্রথম বৈঠকে বসে গত রোববার। সার্চ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২-এর ধারা ৩ মোতাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেয়ার জন্য আইনে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম সুপারিশের লক্ষ্যে অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি গঠন করা হলো। অনুসন্ধান কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলি সম্পন্ন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নিয়মানুযায়ী এর আগেই নতুন ইসি গঠন করা হবে।