আলমডাঙ্গা ব্যুরো,
অনলাইন ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বর্ধিষ্ণু গ্রাম খাসকররা। গ্রামে দুটি প্রাইমারি, দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি কলেজ রয়েছে। রয়েছে একাধিক মসজিদ। গ্রামের বাজারে সাপ্তাহিক হাট ছাড়াও অনেক স্থায়ী ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট এমনকি একাধিক ব্যাংকের শাখা আছে। সব মিলিয়ে খাসকররাকে অজপাড়াগাঁ বলার কোন সুযোগ নেই। শহর না হলেও উন্নত গ্রামের সংস্করণ বলা চলে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা শহরের প্রান্তে অবস্থিত হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ উন্নত। ফলে প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য মানুষের সমাগম ঘটে। লকডাউন উপেক্ষা করে মানুষ গ্রাম্য বাজারে ভিড় করছে কাজে অকাজে। এমনই পরিস্থিতিতে নিজ গ্রামকে মরণঘাতী করোনাভাইরাসমুক্ত করতে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন খাসকররা গ্রামের ৭ জন যুবক। এরা হলেন রাজিবুল ইসলাম শান্ত, হুমায়ন কবির, রমিজ আহমেদ, আল আমিন, তরিকুল ইসলাম, শিমুল বিশ্বাস ও বাঁধন আলী। অনার্স ও কলেজ পড়ুয়া এই সাত যুবক প্রতিদিন গ্রামের সড়ক, প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনা, মসজিদ, বাজারে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে জীবাণুনাশক স্প্রে করে এবং করোনা সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করে আসছেন।
রাজিবুল ইসলাম শান্ত জানান, গত ২৯ মার্চ থেকে এই কষ্টসাধ্য কাজটি তারা করে আসছেন। ব্লিচিং পাউডার দিয়ে নিজেরাই জীবাণুনাশক তৈরি করেন। ইন্টারনেট থেকে জীবাণুনাশক তৈরি শিখেছেন। তা ছাড়া বিদেশ থেকে কেউ বাড়িতে ফিরলে কোয়ারেন্টিনে থাকার গুরুত্ব বুঝিয়ে থাকেন। প্রয়োজনে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেন।
শিমুল বিশ্বাস জানান, শুধু গ্রামে জীবাণুনাশক প্রয়োগের মধ্যেই তাদের কাজ সীমাবদ্ধ নেই। লকডাউন ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে সকলকে উদ্বুদ্ধ করানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা। তা ছাড়া কর্মহীন দরিদ্র মানুষকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে খাদ্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করারও চেষ্টা করেন।