শনিবার বিকালে সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার পর্যন্ত বন্যাজনিত বিভিন্ন রোগে ৪ হাজার ৬১৬ জন আক্রান্ত থাকলেও শনিবার তা বেড়ে ৫ হাজার ২০২ জনে দাঁড়িয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ১৭ মে থেকে ২৫ জুন দুপুর পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৬৬৪ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১৬৬ জন। এক্ষেত্রে কারও মৃত্যুর খবর নেই।
বন্যার শুরু থেকে এ পর্যন্ত বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ জন, যাদের মধ্যে ১৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনের শিকার হয়েছে ছয়জন। তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। বন্যায় সিলেট বিভাগে ৫১, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৭ ও রংপুর বিভাগে চারজনসহ মোট ৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ জেলার জন্য চাল, নগদ টাকা ও শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ বরাদ্দ দেয়া হয়।
শনিবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বরাদ্দ করা জেলাগুলোর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ২ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট, কুমিল্লা জেলায় ২০০ টন চাল, ১৭ লাখ নগদ টাকা, ১ হাজার ৭০০ শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট এবং কিশোরগঞ্জ জেলায় ১০০ টন চাল, ১০ লাখ নগদ টাকা এবং ২ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।