স্টাফ রিপোর্টার: লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের ফের অবনতি হয়েছে। পরিপাকতন্ত্রে থেমে থেমে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কখনো পুরোপুরিভাবে বন্ধ হচ্ছে না। রক্তক্ষরণ বন্ধে দফায় দফায় নতুন নতুন ইনজেকশন ও অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড এ নিয়ে চিন্তিত। বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, যেভাবে দিন যাচ্ছে অবস্থা প্রতিনিয়ত বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা গতকালও বলেছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া উচিত। কিন্তু সরকার অনুমতি না দেয়ায় তা এখনো সম্ভব হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানান, ‘ম্যাডামের’ পরিপাকতন্ত্রের রক্তক্ষরণ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়, কিছুক্ষণ পর আবারও তা শুরু হয়। রক্তক্ষরণের কারণে একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। স্বাস্থ্যের প্যারামিটারগুলো ওঠানামা করছে। হিমোপ্লোবিন কমে যাচ্ছে। আবারও রক্ত সরবরাহ করে তা ধরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই চিকিৎসক আরও জানান, খালেদা জিয়ার শরীরে ফের ইলেকটরাইল ইমব্যালেন্স, অর্থাৎ খনিজে অসমতা দেখা দিচ্ছে। এর ফলে কথাবার্তায় অসংলগ্নতা দেখা দিচ্ছে। ক্ষুধা কমে যাচ্ছে। তেমন কিছু খেতে পারছেন না। জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। কথাবার্তা বলা প্রায় বন্ধ। এভাবে স্বাস্থ্যের প্যারামিটারগুলো নিচে নামা অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে যাবে। গতকালও তার স্বাস্থ্যের একাধিক রুটিন টেস্ট করা হয়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন যত দ্রুত তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত হেলথ সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া যায় ততই মঙ্গল। নইলে জীবন-মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়ে যেতে পারেন তিনি। ১২ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এর মধ্যে তার পরিপাকতন্ত্রে পাঁচবার রক্তক্ষরণ হয়। বিএনপি ও পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিকবার বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার্থে বিদেশ পাঠানোর অনুমতির জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। একই দাবিতে দলের পক্ষ থেকেও টানা কর্মসূচি পালন অব্যাহত রয়েছে।