ঝিনাইদহে বহু বিয়ে করা রোকসানার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যের অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহের ডাকবাংলা গ্রামের রোকসানা খাতুন একাধিক বিয়ে এবং কিছুদিনের মধ্যেই বিচ্ছেদ ঘটানোর কারণে দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামবাসীদের আলোচনায় রয়েছেন তিনি। তিনি বিয়েকে টাকা উপার্জনের মেশিন বানিয়েছেন এমনটাই জানিয়েছে গ্রামবাসীরা। সম্প্রতি সাগান্না ইউনিয়নের বাসিন্দা মেহেদী হাসান বাবু নামের আরও একজনকে শিকার করেন রোকসানা। তবে, জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়দের কারণে এবার সুবিধা করতে না পেরে জনপ্রতিনিধিকে জড়িয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে বেড়াচ্ছেন তিনি।

সাগান্না ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, আমি একাধিকবার জনগণের আস্থা নিয়ে নির্বাচিত হয়েছি। বার বার পরাজিত হওয়া প্রতিপক্ষরা আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য ব্যর্থ চেষ্টাও করেছেন। তবুও আমি সবসময় ভালোকে ভালো এবং মন্দকে অবশ্যই মন্দ বলবো। বহু বিবাহকারী রোকসানা কখনো ভালো চরিত্রের ছিলো না। সরলসোজা টাকাওয়ালা লোক বুঝে সে একাধিক বিয়ে করে টাকা উর্পাজনের নেশায় মেতে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় মেহেদী হাসান বাবুকেও তার শিকারে পরিণত করেছে। তবে শুনেছি ২০০৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বাবুকে ফাঁদে ফেলে গোপনে বিয়ে করে রোকসানা। বিয়ের কয়েক দিনের মাথায় ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিচ্ছেদ ঘটায়। এর আগে ২০০৭ সালে চন্ডিপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে ফারুক হোসেনের সাথে এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারী মাসে বৈডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে আব্দুল লতিফের সাথেও বিয়ে করেন তিনি। সেখান থেকেও মোটা অংকের টাকা নিয়ে রোকসানা খাতুন বিচ্ছেদ ঘটায়।

তিনি বলেন, এসব সত্য কথা বলার কারণে আমাকে জড়িয়ে সাংবাদিকদের নিকট মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে আমার সম্মান ক্ষুন্ন করা চেষ্টা করেছে। আমাকে জড়িয়ে গত ১০ ও ১২ আগস্ট পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা শিরোনামে পোস্ট করা হয়। আমাকে জড়িয়ে প্রকাশিত লেখার অংশের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে নিন্দা জ্ঞাপন করছি। পরবর্তীতে এ ধরণের মিথ্যা তথ্য সরবরাহ ও প্রচার করলে বহু বিবাহকারী নারী রোকসানার বিরুদ্ধে মানহানিকর মামলা করতে বাধ্য হবো।

Comments (0)
Add Comment