জীবননগর ব্যুরো: বাড়িতে দাদীর মরদেহ রেখে রাস্তায় আটকে পড়া ফুফুকে মোটরসাইকেলযোগে আনতে যাওয়াকালে উপজেলার রায়পুরে ইমরান হোসেন (২৯) নামে এক যুবককে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এ সময় রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যানের স’ মিল হতে দু আলমসাধু কাঠ লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ হামলা ও লুটের পেছনে রায়পুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাহাজ্জত হোসেনের লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। রোববার রাতে রায়পুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে ৭ জনকে আসামি করে জীবননগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, রায়পুর বারুইপাড়ার ইয়ার আলীর ছেলে ইমরান রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশিদ শাহর সাথে থাকেন। কান কথা শুনে রোববার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তাহাজ্জত হোসেন লোকজন নিয়ে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ শাহের ওপর চড়াও হন। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। এদিন সন্ধ্যায় রায়পুর বারুইপাড়ার ইমরানের দাদি উমরাতুন নেছা (৬৫) ইন্তেকাল করেন। মায়ের দাফন কাজে আসার পথে ইমরানের ফুফু রাস্তার মধ্যে কাটাপোলে এসে আটকে পড়েন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইমরান তার ফুফুকে নেয়ার জন্য মোটরসাইকেলযোগে রায়পুর বাজার পার হওয়াকালে সবুজ ও রফিক তাকে আটক করে পিটিয়ে আহত করেন। বাড়িতে দাদীর মরদেহ রয়েছে জানার পরও হামলা চালিয়ে ইমরানকে আহত করার ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। এছাড়াও হামলার পূর্বে রাত পৌনে ৮টার দিকে গ্রুপটি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ শাহের রায়পুর বাজারে অবস্থিত শাহ টিম্বার ট্রেডার্স এ্যান্ড স’ মিলে দুটি আলমসাধু নিয়ে হামলা চালানো হয়। এসময় তারা স’ মিল হতে দু আলমসাধু বিভিন্ন সাইজের কাঠ লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় গতকাল রাতেই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ শাহ বাদী হয়ে তাহাজ্জত হোসেন মীর্জাসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে জীবননগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।