দেশের পূর্বাঞ্চলে স্বস্তির আভাস দিলেও খুলনার তাপ প্রবাহ প্রশমন অনিশ্চিত
স্টাফ রিপোর্টার: কুষ্টিয়া অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও বুধবার রাত পর্যন্ত ছিটেফোটাও হয়নি। ময়মনসিংহ, নেত্রকোন ও সিলেটে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। রাঙ্গামাটিতে এক মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদফতরের দেয়া পূর্বাভাসে টাঙ্গাইল, বগুড়াদ, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, সীতাকু- এবং দিনাজপুর অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় সারা দিনের তীব্র খরা আর সন্ধ্যার পর ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। তবে রাত ১১টার দিকে ঝড়ো বাতাস ওঠে। বাতাসে শীতলতার ছোয়া থাকলেও মধ্যরাত পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। বাতাস ওঠার সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুতের আসা যাওয়া শুরু হয়।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, সীতাকু-, শ্রীমঙ্গল, দিনাজপুর অঞ্চলসহ রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। স টাঙ্গাইল, বগুড়াদ, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, সীতাকু- এবং দিনাজপুর অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। ৪৮ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বৃষ্টি বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। ৫ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো রাজশাহী ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনি¤œ ছিলো সিলেটে ২২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৫ ও সর্বনি¤œ ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা অসহনীয়। সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ তাপ মাত্রার ব্যবধান কমে বাড়িয়েছে অস্বস্তি। কবে নাগাদ এ পরিস্থিতির উন্নীতি হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেনি আবহাওয়া অধিদফতর। মঙ্গলবার যে পূর্বাভাস দেয়া হয়, তাতে কুষ্টিয়া অঞ্চলেও বৃষ্টির সম্ভবনার কথা বলা ছিলো। বুধবার সেই সম্ভাবনার পূর্বাভাস না থাকলেও রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গাসহ পাশর্^বর্তী এলাকায় বাতাস ওঠে। বাতাসে শীতলতার ছোঁয়া পেয়ে অনেকেই মন্তব্য করেন, আশে পাশে কোথায় বোধ হয় বৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে লকডাউন চললেও দোকান পাঠ খোলা থাকার কারণে সকাল থেকেই বাজারে উপচেপড়া ভিড় হচ্ছে। অধিকাংশের মুখে মাস্ক থাকলেও গা ঘেশাঘেষি করে কেনা কাটায় ব্যস্ত হওয়ার ধরণ দেখে অনেকেই মন্তব্য করতে গিয়ে দীর্ঘশ^াস ছেড়ে বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে ভাইরাসে মানুষগণহারে মরছে। হরদম জ¦লছে চিতা। কবরস্থানেও দাফনের স্থান সংকুলান নাহওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশেও পরিস্থিতি স্বস্তির মধ্যে নেই। এ অবস্থায় মানুষ ভ্যাপসা গরমে ঘেমে নেয়ে কেনা কাটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। সুস্থ থাকলে দুদিন পরও তো কেনা কাটা করা যাবে। হুড়োহুড়ি করে কিনতে ভিড় জমাতেই হবে কেনো? অপরদিকে তীব্র খরায় মাঠে ধান কাটা ঝাড়া নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। রোদে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে গরম জনিত রোগ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে জীবনবীপন্ন হওয়ার ঝুকি। পবিত্র রমজানে রোজা রেখে সতর্কতার সাথে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য সচেতন সমাজ।