একে অপরের প্রতি সহযোগিতা ও সহমর্মিতার হাত আরও প্রসারিত করতে হবে
গাংনী প্রতিনিধি: করোনাকালীন পরিস্থিতিতে একে অপরের প্রতি সহযোগিতা আর সহমর্মিতার হাত আরও প্রসারিত করার আহ্বান জানালেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন। গতকাল বুধবার সকালে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দরিদ্র মানুষের মাঝে সরকারি ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহবান জানান। গাংনী ইউএনও সভাকক্ষে পিআইও অফিস আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, বৈষ্ণিক মহামারী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বদলে গেছে সারা বিশ্বের নিত্যকার চিত্র। বাংলাদেশেও এর বিরুপ প্রভাবে দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের টিকে থাকার লড়াইয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। শুধু দরিদ্র মানুষই নয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকলের জন্য সুযোগ দিয়েছেন। জনগণের জন্য শেখ হাসিনার সহায়তার দ্বার সব সময় উন্মোচিত বলে দুর্যোগ পরিস্থিতিতে আবারও প্রমাণ হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন আরও বলেন, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ব্যক্তি সহায়তার উদ্যোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তি সচেতনতা বৃদ্ধি পেলেও তা যথেষ্ট নয়। নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে সরকারের একার পক্ষে পরিস্থিতি মোকাবেলা সম্ভব নয়। তাই যার যার অবস্থান থেকে দেশের এ দুঃসময়ে যথাযথ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ এম সেলিম শাহনেওয়াজ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিরঞ্জন চক্রবর্তী। অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়ানুর রহমান।
গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস (পিআইও) সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্যের অনুকূলে ৮৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে ১০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও বান্ডিল প্রতি ৩ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুস্থ অসহায় পরিবার ও প্রতিষ্ঠানে এ ঢেউটিন ও টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ব্যক্তি প্রতি এক বান্ডিল টিন ও তিন হাজার টাকা এবং প্রতিষ্ঠান প্রতি দুই বান্ডিল টিন ও ছয় হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। এক অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যের টিআর বরাদ্দ থেকে গাংনীর প্রবীন শিল্প ওস্তাদ রতন সরকার ও সেলিম রেজাকে ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকা এবং শিল্পকলা একাডেমির বাদ্যযন্ত্র ক্রয়ের জন্য আরও এক লাখ টাকা প্রদান করা হয়।