গণতন্ত্রের লড়াইয়ে জয়ী হতে হবে : মির্জা ফখরুল

 

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূল করার জন্য কাজ করছে। ন্যূনতম অধিকারগুলো তারা কেড়ে নিচ্ছে। কোনো ভোটের পরিবেশ নাই। এ অবস্থার পরিবর্তনে গণতন্ত্রের লড়াইয়ে জয়ী হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই। আন্দোলনে বিজয়ী না হতে পারলে দেশ ৫০ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনে পড়বে। শনিবার সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের প্রতিনিধি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। বিএনপি সমর্থিত বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের এই প্রতিনিধি সম্মেলন হয়। সারাদেশ থেকে শতাধিক প্রতিনিধি এতে অংশ নেন। লন্ডন থেকে স্কাইপে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বক্তব্য রাখেন। মির্জা ফখরুল বলেন, এদেশে এখন কেউ নিরাপদ বোধ করেন না। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কেউ না। কখন কাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে কি বিপদে ফেলবে তা কেউ বলতে পারে না। এরই মধ্যে ছয় শতাধিক লোককে গুম করা হয়েছে। চলিস্নশ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘর-বাড়ি ছাড়া করা হয়েছে। বিএনপি হিন্দু বিরোধী একথা মানুষ বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে দলটির মহাসচিব বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত যেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি সেখানে আওয়ামী লীগ সরকার একটা বিষয় বাজারজাত করে- ‘বিএনপি হচ্ছে হিন্দু বিরোধী দল সংগঠন।’ কিন্তু এটা দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। কারণ, বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে তখন তারা নিরাপদ থাকে। এখানে সকল সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা করে বিএনপি। তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র থাকলে সবাই নিরাপদে থাকতে পারেন। আর গণতন্ত্র না থাকলে সেটা থাকবে না। সব মানুষের একমাত্র সুরক্ষা হচ্ছে গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য এখন সবাইকে এক হতে হবে। এই যুদ্ধ তারেক রহমানের যুদ্ধ না, এই যুদ্ধ বিএনপির অন্য কোনো নেতার না, এই যুদ্ধ সকল মানুষের। মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের লোকজনই হিন্দু সম্প্রদায়ের সম্পত্তি, দোকান-পাট, ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করেছে। বর্তমান সরকারের আমলে বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর, রামুতে বৌদ্ধ বিহারে অগ্নিসংযোগ-হামলার ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের লোকজনই জড়িত। আর আওয়ামী লীগের একটাই উদ্দেশ্য সম্পত্তিগুলো দখল করা, তাদেরকে বিতাড়িত করা এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে তাদেরকে হেয়প্রতিপন্ন করা। সংগঠনের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এসএন তপন দে’র সঞ্চালনায় এতে ফ্রন্টের উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, আ্যালবার্ট পি কস্টা, অর্পণা রায় দাস, সুশীল বড়ুয়া, জনগোমেজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারতের পর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে তার চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন। অবিলম্বে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে অ্যাডভান্স সেন্টারে পাঠানো উচিত। অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন এবং তার সুচিকিৎসার জন্য বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তাকে মুক্ত করা হবে।

Comments (0)
Add Comment