খালেদা জিয়ার হার্টের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয় : মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হার্ট ও কিডনিতে সমস্যা রয়েছে। এ দুটি সমস্যা নিয়ে তার চিকিৎসকরা বেশ উদ্বিগ্ন। দেশের হাসপাতালগুলোয় তার এ সমস্যাগুলোর চিকিৎসা সম্ভব নয়। তার দেশের বাইরে আরও উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। শুক্রবার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড করা হয়েছে। দেশে যারা বিশেষজ্ঞ আছেন, তাদের মধ্যে এরাই বেশ বড় মাপের বিশেষজ্ঞ। তাদের সর্বশেষ যে বক্তব্য, সেটা হচ্ছে-বিএনপির চেয়ারপারসনের কোভিড-পরবর্তী যে জটিলতা দেখা দিয়েছিলো, সেগুলো এখন মোটামুটি ভালো। তার মূল যে সমস্যাগুলো, তা উদ্বেগজনক। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মনে করছেন, তার চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে যে হাসপাতাল, সেন্টারগুলো আছে, এগুলো যথেষ্ট নয়। খালেদা জিয়ার যে বয়স, অসুখ, সেই বিবেচনায় উন্নত সেন্টারে যাওয়া দরকার এবং জরুরি।
মির্জা ফখরুল সরকারের উদ্দেশে বলেন, আজ ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) ওপরে কী চলছে? বলেন, কোন আইনে ম্যাডামকে আটকে রেখেছেন। আপনারা বলেন সাজাপ্রাপ্ত, ধরে নিলাম সাজাপ্রাপ্ত। ১৭ বছরের সাজা হয়েছে, সেও তো জামিনে আছে। তো ম্যাডামের ব্যাপারে এই অবিচার কেন? একটাই কারণ, আপনাদের যে কোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকতে হবে। গণতন্ত্র মুখের কথা, বইয়ের কথা। আমাদের কাছে অস্ত্র, আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র আছে, আমরা ক্ষমতায় থাকব, তোমরা কী করতে পার, কর। খালেদা জিয়া ১১ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩ মে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। ৪ জুন থেকে তিনি হাসপাতালের কেবিনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের এবং রিমান্ডে হয়রানির অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, তার ব্যাপারে হঠাৎ করে একটা অডিও ক্লিপ ছাড়লো। তাতে কী দেখাচ্ছে? সেখানে সে (নিপুণ) নির্দেশ দিচ্ছে তার কেরানীগঞ্জের কর্মীকে যে তুমি জ্বালিয়ে দাও। আপনারা খুব ভালো করে জানেন, আজকাল টেকনোলজি এমন একটা জায়গায় গেছে, যে কোনো জিনিস তৈরি করা খুব কঠিন কাজ নয়।
তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হলো। ৫ দিন, ৭ দিন, ১০ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হলা, রিমান্ড আর শেষ হয় না। আবার তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তার অপরাধ দুইটা। এক, তুমি মহিলা। তুমি এত অ্যাকটিভ কেন? দুই হচ্ছে তুমি হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়ে। তুমি এত কথা বল কেন আমাদের বিরুদ্ধে?
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আসলাম চৌধুরীর কী অপরাধ? যেটা দেখতে পাই ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করেনি। তাই বলে তাকে ৫ বছর জেলে থাকতে হবে? আর ওই যে আপনাদের যে অ্যাডভাইজার যিনি করোনা নিয়েও আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করলেন, যার হাজার হাজার কোটি টাকা লোন হয়ে আছে, একটা দিনের জন্যও গ্রেফতার করলেন না।

Comments (0)
Add Comment