কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় স্বর্ণের কারিগর হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, দুজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন কুমারখালী উপজেলার দড়ি কোমর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে শহিদুর রহমান ওরফে পিরু মিঠুন। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাউজিং এস্টেট এলাকার ফজলুল বিশ্বাসের ছেলে মেহেদী হাসান জজ ও কুমারখালী উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুমারখালী উপজেলার সনদাহ গ্রামের শহীদ বিশ্বাসের ছেলে নাহিদ হাসান, খোকসা উপজেলার চক হরিপুর গ্রামের মুন্সি নাসির উদ্দিনের ছেলে মুন্সি অনিক হাসান ওরফে ইমরান ও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার তুলশিতলা গ্রামের আফাজুদ্দীনের ছেলে ওয়াদুদ ওরফে রাজু।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০১৮ সালের ১৬ মার্চ সকালে কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের দৌড়গরিয়া গ্রামের একটি ভুট্টাক্ষেত থেকে স্বর্ণের কারিগর ইমরান হোসেনের (২২) মস্তকবিহীন মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ২০ মার্চ নিহতের বাবা বাদশা শেখ আসামিদের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় মামলা করেন। ২০২০ সালের ২৩ এপ্রিল তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। পুলিশ পাহারায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।