কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়া এলাকায় শিশুকন্যা সুরাইয়া খাতুনকে ধর্ষণ করে হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে পরিবার ও এলাকাবাসী। এ ঘটনায় অভিযোগ এনে তিনজনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছে নিহত শিশু সুমাইয়ার পিতা মো. রুবেল। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন কুষ্টিয়া শহরের মিললাইন ভাটাপাড়া এলাকার বাসিন্দা রেজন ইসলামের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৪৫), দুলু মিয়ার ছেলে ইনছান (৪৩) এবং গোলাম মোস্তফার ছেলে সুমন (৪০)। মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে ঘটনার প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিহতের বাড়ি শহরের মিল লাইন থেকে বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে থানামোড়ে এসে মানববন্ধন সমাবেশ করে আন্দোলনকারীরা। এ সময় অংশ নেয়া স্থানীয়দের অভিযোগ শিশু সুমাইয়াকে ধর্ষণ করে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। অথচ ঘটনাটিকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে একটি চক্র।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অচেতন ওই শিশুকন্যাকে উদ্ধার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। সুরাইয়া কুষ্টিয়া পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ড পূর্ব মিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী রুবেল হোসেনের কন্যা এবং স্থানীয় আলাউদ্দিন আহমেদ একাডেমির প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সুরাইয়ার মা ইমা খাতুনের অভিযোগ, পাষন্ডরা আমার এতটুকু দুধের শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যা করে আবার আমারই ঘরের মধ্যে লাশ ফেলে গেছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। সুরাইয়ার বাবা রুবেলের অভিযোগ, আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ওরা হত্যা করেছে। আমি পুলিশকে সেটা বলেছি, অথচ থানায় শুধু হত্যা মামলা নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ নিজেই দরখাস্ত লিখে আমার সই নিলো। দরখাস্তে কি লেখা ছিলো তা আমাকে পড়ে শুনাইনি পুলিশ। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের ফাঁসি চাই।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি সাব্বিরুল আলম বলেন, শিশু সুারাইয়া হত্যা মামলাটি তদন্তাধিন। এ মুহূর্তে মামলার কোন বিষয়ে সঠিক ব্যাখ্যা দেয়ার সুযোগ নেই। তবে ঘটনা যায় ঘটুক পুলিশের তদন্তে সব বের হয়ে আসবে। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাক তাদের গ্রেফতারে ইতোমধ্যে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। নিহত শিশু সুমাইয়ার পিতার করা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সুমনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।