কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চাঞ্চল্যকর কাজল হোসেন (৪৫) নামের ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় র্যাব ১২ কুষ্টিয়া কোম্পানি কমান্ডারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানায় র্যাব কুষ্টিয়া কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার তৌহিদুল মবিন খান। গ্রেফতারকৃতরা হলেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালী সরদারপাড়া এলাকার মৃত লোকমান হোসেন সরদার ওরফে নুকা সরদারের দুই ছেলে আব্দুল মতলেব (৪২), আব্দুল মাবুদ (৩৫)।
র্যাব কুষ্টিয়া কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার তৌহিদুল মবিন খান জানান, গত ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালি গ্রামে মো. কাজল হোসেন (৪৫) নামের ইউপি সদস্য প্রতিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা গুরুতর আঘাত করে। ঘটনার পরদিন ১৬ মার্চ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আসামির দেয়া তথ্যমতে, এক মাস আগে বিয়েবাড়িতে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কাজলের ভাতিজার সঙ্গে প্রতিবেশী মাবুদ হোসেনের ছেলে ও তার চাচাতো ভাইয়ের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার কারণে গত ১৫ মার্চ আনুমানিক বিকেলে মাবুদ হোসেনের ছেলে ও তার চাচাতো ভাই কলেজ থেকে ফেরার পথে নিহত কাজলসহ আরও লোকজন নিয়ে তাদেরকে মারার উদ্দেশ্যে রড দিয়ে আঘাত করে ও হাতাহাতি, মারামারি সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার কারণে ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিষয়টি নিয়ে নিহত কাজল ও তার ভাতিজাকে সাথে নিয়ে আসামি মাবুদের বাড়ির সামনে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দিতে আসে বলে আসামি জানান। যার ফলে কাজল ও মাবুদের সাথে কথা-কাটাকাটির শুরু হয় এবং একপর্যায়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পিঠে ও ঘাড়ে গুরুতর জখম করে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় কাজল ব্যাপারটি মিমাংসা করতে গিয়েছিলেন।
র্যাব জানায়, এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার ফলশ্রুতিতে, র্যাব আসামিদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা শহরে পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কাজল হোসেন হত্যাকান্ডে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা অকপটে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব।