কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। যেখানে গত এক মাসের বেশি সময়ে জেলায় কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় মাত্র ২৩ জন, সেখানে তিন দিনের ব্যবধানে রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে। গত তিন দিনে রোগী শনাক্ত হয়েছে ২২ জন। গতকাল শুক্রবার জেলায় এক দিনে ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা এ যাবৎকালের মধ্যে একদিনে সব থেকে বেশি। এর মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। পুলিশ সদস্যের করোনা শনাক্ত হওয়ায় মিরপুর উপজেলার কাকিলাদহ পুলিশ ক্যাম্প লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। সব সদস্যকে আপাতত পুলিশ লাইনে আলাদা করে রাখা হয়েছে। রোগী বাড়লেও জেলায় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না বেশিরভাগ মানুষ। হাটবাজারগুলোতেও মানুষের উপচে পড়া ভিড়। প্রশাসনকেও আগের মত আর শক্ত অবস্থানে দেখা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় যানবাহন চলাচল শুরু হলে পরিস্থিতি খারাপ হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসের ফেসবুক পেজে কোভিড-১৯ নিয়ে সর্বশেষ তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, শুক্রবার জেলায় ৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ জন। এর মধ্যে কুমারখালী উপজেলায় ২ জন, খোকসায় ৩ জন, দৌলতপুরে ৪ জন ও মিরপুরে ১ জন। আক্রান্তদের ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী।
আগের দিন বৃহস্পতিবার জেলায় ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। বুধবার শনাক্ত হয় ৪ জন। সব মিলিয়ে ৫৭ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে শুক্রবার পর্যন্ত। এ পর্যন্ত দৌলতপুর উপজেলায় রোগীর সংখ্যা সব থেকে বেশি। সেখানে সর্বাধিক ১৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। যাদের বেশির ভাগই ঢাকাফেরত।
এছাড়া ভেড়ামারা উপজেলায় ৬ জন, মিরপুরে ১০ জন, সদর উপজেলায় ৭ জন, কুমারখালীতে ১১ জন ও খোকসায় ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ৪০ জন ও নারী ১৪ জন। এদিকে শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় ২৬ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, হোম আইসোলেশনে ৩৩ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। যারা হাসপাতালে ছিলেন তারা সুস্থ হয়ে আগেই বাড়ি ফিরেছেন। নতুন করে একদিনে ১০ জন সনাক্ত হয়েছেন। যারা হোম আইশোলেশনে আছেন তাদের বেশির ভাগই সুস্থ আছেন। নিয়মিত তাদের খোঁজ খবর রেখে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।