কালীগঞ্জ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ১২৩ ফুট উচ্চতার দেশের বৃহত্তম শেখ মুজিব টাওয়ারের ম্যুরালটি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা উপজেলার শমশেরনগরের সরকারি শেখ মুজিব মেমোরিয়াল কলেজের ম্যুরালটি ভাঙচুর চালায়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর করা ম্যুরালের অংশগুলোতে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের শমশেরনগর গ্রামে ২০২১ সালের দিকে কলেজসংলগ্ন স্থানে দেশের মধ্যে বৃহত্তম ১২৩ ফুট উচ্চতার শেখ মুজিবের নামে একটি টাওয়ার তৈরি করা হয়। এর নাম দেয়া হয় ‘দ্য স্ট্যাচু অব স্পিচ অ্যান্ড ফ্রিডম’। ওই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ডা. রাশেদ শমসের এটি তৈরি করেছিলেন। এর ১২৩ ফুট ওপরে শেখ মুজিবের ম্যুরালটি স্থাপন করেন। ওই চত্বরেই টাওয়ারের বিভিন্ন পাশে আরও ২০টি ছোট ভাস্কর্য ছিলো।
প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা মিছিল সহকারে ওই স্থানে যায়। তারা টাওয়ারটিতে উঠে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ও বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর চালায়। শেষে ওই ভাঙচুর করা ম্যুরালের কিছু অংশ বারবাজার শহরে এনে সড়কের উপরে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক হোসাইন আহমেদ বলেন, খুনি শেখ হাসিনার পরিবারের কোনো ম্যুরাল স্থাপনা এ দেশে থাকবে না। সেইসঙ্গে বাংলার জমিনে কোনো ফ্যাসিবাদের চিহ্নও থাকবে না। এজন্য তারা শেখ মুজিবের ওই ম্যুরালগুলো ভেঙে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় তাদের সঙ্গে শত শত ছাত্র-জনতা অংশ নেয়।