স্টাফ রিপোর্টার: দেশে করোনাভাইরাসে দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই বেড়েছে। করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। গত এক মাসের মধ্যে গতকালই সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হলো। সবশেষ গত ২৫ নভেম্বর এক দিনে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গতকাল পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৭০ জনের। ডিসেম্বরের প্রথম দিকে নতুন শনাক্ত তিনশতের নিচে ছিল। হঠাৎ ক্রিকেট খেলোয়াড় আক্রান্ত হওয়া এবং এরপর আরো কয়েকজন আক্রান্ত হওয়ার পরই তা সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে? জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, হতে পারে। তবে নিশ্চিত না হয়ে এমন তথ্য দেয়া ঠিক নয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫০৯ জনের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে। দৈনিক শনাক্ত হিসেবে গত ১১ সপ্তাহের মধ্যে এটা সর্বোচ্চ। সবশেষ গত ১৩ অক্টোবর ৫১১ জন আক্রান্ত হয়। এরপর কিছু দৈনিক শনাক্ত ২০০ জনের নিচে নেমে গিয়েছিল। মহামারীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ২৭ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৯৫ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮১১ জন।
গতকাল যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও তিনজন নারী। এ পর্যন্ত করোনায় পুরুষ মারা গেছেন ১৭ হাজার ৯৫৬ জন এবং নারী মারা গেছেন ১০ হাজার ১১৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় যে সাতজন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের পাঁচজন এবং চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে রয়েছেন একজন করে।
মৃত সাতজনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব বয়সী চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে দুজন এবং একজনের বয়স ৫০ বছরের নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ১৫২টি আরটি-পিসিআর, ৫৭টি জিন-এক্সপার্ট এবং ৬৪৩টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাবসহ মোট ৮৫২টি ল্যাবে ২২ হাজার ৬৬৮টি নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে পরীক্ষা হয়েছে ২২ হাজার ৬৬৭টি। মহামারীর শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ১৪ লাখ ৭২ হাজার ৮১৫টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ২৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মৃত্যু করোনায় প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত বছরের শেষ দিকে সংক্রমণ কিছুটা কমে এলেও এ বছরের এপ্রিল থেকে জুন-জুলাই পর্যন্ত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের তা-বে আক্রান্ত ও প্রাণহানি ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।