স্টাফ রিপোর্টার: চারদিন পর দেশে করোনায় মৃত্যু নামলো একশর নিচে। ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৯১ জন। আগের দিন দেশে সর্বোচ্চ ১১২ জন মারা যায়। রোববার মৃত্যু হয়েছিল ১০২ জনের। শনি ও শুক্রবার মারা যায় ১০১ জন করে। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৫৮৮ জনে। একদিনে নতুন করে আরও ৪ হাজার ৫৫৯ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা সাত লাখ ২৭ হাজার ৭৮০ জনে দাঁড়াল। ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতালে আরও ছয় হাজার ৮১১ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২৮ হাজার ১১১ জনে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে এখনও হাসপাতাল ঘুরে অনেকেই আইসিইউ শয্যা পাচ্ছেন না। এমনকি সাধারণ শয্যা সংকটও রয়েছে। ভোগান্তি বাড়ছে নমুনা পরীক্ষা করাতেও। কয়েক হাসপাতালে অনলাইনে সিরিয়াল নিতে হওয়ায় এ ভোগান্তি বেড়েছে। আবার সিরিয়াল পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে পরীক্ষা করাতে পারছেন না। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছর ৮ মার্চ। ১৪ এপ্রিল মোট শনাক্ত সাত লাখ ছাড়ায়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ৩১ মার্চ তা নয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরপর মাত্র ১৫ দিনে আরও এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৬৫টি ল্যাবে ২৭ হাজার ৫৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫২ লাখ ২১ হাজার ২৭৫টি নমুনা। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৮ লাখ ৭৯ হাজার ১৩০টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৩ লাখ ৪২ হাজার ১৪৫টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ আর নারী ৩৩ জন। তাদের ৫২ জন সরকারি হাসপাতালে, ৩৬ জন বেসরকারি হাসপাতালে, দুজন বাড়িতে এবং একজন হাসপাতালে আনার পথে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ৫৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ১১ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, সাতজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং একজনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ৬০ জন ঢাকা বিভাগের, ১৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিনজন রাজশাহী বিভাগের, পাঁচজন খুলনা বিভাগের, চারজন বরিশাল বিভাগের এবং দুজন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১০ হাজার ৫৮৮ জনের মধ্যে সাত হাজার ৮২৭ জনই পুরুষ এবং দুই হাজার ৭৬১ জন নারী।
এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৭৬৮ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪২৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ১৭ হাজার ১৪৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯৮ হাজার ৫২৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৬২৩ জন।