দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত একদিনে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরও ১ হাজার ৪৫৭ জনের মধ্যে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৯৪ জন হয়েছে। আর করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ২৮৪ জন।
সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ১ হাজার ৩৭৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ২৭ হাজার ৫১০ জন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা সাড়ে ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে প্রায সাড়ে ১৬ কোটিতে পৌঁছেছে ৪৯ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ লাখ ১৮ হাজারের বেশি মানুষের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪৮২টি ল্যাবে ১৯ হাজার ৪২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৭ লাখ ৭৪ হাজার ৮৮৩টি নমুনা। বৃহস্পতিবার নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪২ লাখ ২৬ হাজার ৩৭১টি; বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৫১২টি। এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ২৬ জন পুরুষ আর নারী ১০ জন। তাদের ২৫ জন সরকারি হাসপাতালে, ১০ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ১ জন বাড়িতে মারা যান। তাদের মধ্যে ১৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং ২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ১২ জন ঢাকা বিভাগের, ১৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের,৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ২ জন খুলনা বিভাগের, ৩ জন সিলেট বিভাগের, এবং ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ২৪৮ জনের মধ্যে ৮ হাজার ৮৮৪ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৪০০ জন নারী।