স্টাফ রিপোর্টার: তাপমাত্রা বেড়ে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমেছে। একই সঙ্গে আওতা কমেছে শৈত্যপ্রবাহের। তাপমাত্রার এই বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। একই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট- এই চার বিভাগে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিরও পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। সোমবার সকালে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার তা বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, একদিন আগে যা ছিল ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি। সোমবার সীতাকু- অঞ্চলসহ গোপালগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ফেনী, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশাল জেলা এবং রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিলো। এদিকে, চুয়াডাঙ্গায় ইতালি প্রবাসী, ইতালি ভ্যনিস কমিউনিটির সহ সভাপতি আলোমগীর আলম শীতার্ত মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন।
আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হামিদ মিয়া জানান, মঙ্গলবার সকালে নওগাঁ ও মৌলভীবাজার জেলাসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। তিনি আরও বলেন, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি বা গুঁড়গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গায় অসহায় দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ইতালি প্রবাসী, ইতালি ভ্যানিস কমিউনিটির সহ সভাপতি আলোমগীর আলম ৬৬ শীতার্ত মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিজ বাড়িতে ভিড়জমানো দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে মাঝে কম্বল বিতরণ করেনও রাতে রেল স্টেশনে আশ্রয় নেয়া দুস্থ ও অসহায়দের গায়ে নিজ হাতে কম্বল জড়িয়ে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন তিন ছেলে নাহিদ আলম,শাওন আলম, ছায়েম আলম, সাহিত্য সংসদ আন্তর্জাতিক সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি রবিউল হোসেন সুকলাল, সঙ্গীয় ফৌর্সসহ চুয়াডাঙ্গা সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রহিস উদ্দীন।