স্টাফ রিপোর্টার: ছাত্রী হলের সিটে শিক্ষার্থী তুলতে ছাত্রলীগের হস্তক্ষেপকে কেন্দ্র করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে হেনস্তা করা হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে খালেদা জিয়া হলের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন ছাত্রীরা। অবস্থান চলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং হলের প্রভোস্ট সমাধানের আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা। এ ঘটনায় গতকাল বেলা ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুইয়া, হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী, প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনসহ সহকারী প্রক্টর, আবাসিক শিক্ষকরা এবং ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তদন্ত কমিটি গঠন ও জুনিয়র ছাত্রী সৈয়দ সায়মা রহমানকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কারের কথা জানান ট্রেজারার। সেই সঙ্গে আগামীকাল সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কমিটির সঙ্গে বসে রোববারের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন। এ ছাড়া হলের প্রভোস্ট অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন-হলের হাউস টিউটর সহকারী অধ্যাপক মাহবুবা সিদ্দিকা, নাজমুল হুদা ও নাহিদা আক্তার। আন্দোলনরত ১৬ জন ছাত্রীর বিরুদ্ধে র্যাংগিয়ের অভিযোগ এনে প্রভোস্ট বরাবর পাল্টা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সায়মা রহমান। অভিযোগের ভিত্তিতে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, ছাত্রলীগের রেফারেন্সে খালেদা জিয়া হলের ২০৪ নম্বর কক্ষে জানালার পাশের সিটে উঠতে চায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দা সায়মা রহমান। ২০৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সিনিয়র শিক্ষার্থী পপি আক্তার তাকে দরজার পাশের বেডে থাকতে বলেন। ওই শিক্ষার্থী তার পরিচিত ছাত্রলীগের বড় ভাই শাহীন ও হাফিজকে বলেন। শাহীন, হাফিজ, মাসুমসহ অন্য কর্মীরা পপি ও তার বন্ধুকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। পরে হল গেটে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন তারা। হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, আমরা ছাত্রীদের সঙ্গে বসেছিলাম। সেখানে হলের দেড় শতাধিক ছাত্রীর স্বাক্ষরসহ সায়মার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করে তার সিট বাতিলের দাবি ও হেনস্তার অভিযোগে বিচারের দাবি করেছেন। আমরা সায়মাকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছি এবং হেনস্তার অভিযোগ থাকা ছাত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রক্টোরিয়াল বডির কাছে সুপারিশ করেছি।