স্টাফ রিপোর্টার: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী ও বিতর্কিতদের দলীয় মনোনয়ন না দেয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন পাওয়া কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার মনোনয়ন পরিবর্তন করবে দলটি। সোমবার গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নে মনোনীত প্রার্থী সংশোধনও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে টানা সভা চলছে। সোমবার পঞ্চম দিনের সভায় ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। পাশাপাশি এদিন খুলনা বিভাগের নড়াইল জেলা সদরের বিছালী ইউনিয়ন পরিষদে প্রার্থী পরিবর্তন করে এস এম আনিসুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এর আগে রোববার দুই ইউপি মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুরে এবং খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়ায় প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে আমির হোসেন আমু, শেখ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, রশিদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লম্বা সময় ধরে খুব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মনোনয়ন চূড়ান্ত করছেন। অনেক সময় বিভিন্ন রিপোর্টে একেক রকম নাম থাকে। তা আবার খুঁজে বের করতে হয়। সেক্ষেত্রে দলীয় রিপোর্টসহ আরও দুটি রিপোর্টের সঙ্গে মিলিয়ে যাচাই-বাছাই করে প্রার্থী চূড়ান্ত করছেন। কিছু অভিযোগের সত্যতা থাকলেও জমা পড়া বেশিরভাগ অভিযোগের পক্ষেই তেমন কোনো প্রমাণ নেই বলে জানায় বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র। সভার অপর একটি সূত্র জানায়, যারা অন্তত দশ-বারো বছর আগে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন এমন যোগ্য প্রার্থীদের ইউনিয়ন পরিষদে মনোনয়নের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। এছাড়া অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকায় গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরের শিবচরের কিছু ইউনিয়নে নির্বাচন উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লী সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, অভিযোগ করলেই হবে না। অভিযোগের সত্যতাও থাকতে হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে মনোনয়ন বাতিল করা হবে।