স্টাফ রিপোর্টার: আজ শুভ দীপাবলি। সহস্র প্রদীপ জ্বালিয়ে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পালন করবেন দীপাবলি উৎসব ও শ্যামাপূজা। দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর, লুটপাট, হামলা, অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে এবার উৎসব হবে না দীপাবলিতে। উদযাপনের পরিবর্তে ম-পের সামনে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী বলেন, ‘দুর্গাপূজায় প্রতিমা ভাঙচুর, হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের প্রতিবাদে এবার শ্যামাপূজায় দীপাবলি উৎসব হবে না। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৬টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ম-পের সামনে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে ‘সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও’ শীর্ষক প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজধানীর যেসব মন্দিরে দুর্গাপূজা হয়েছে তার অধিকাংশগুলোতে কালীপূজা হবে। এছাড়াও অনেকে ব্যক্তিগতভাবে প্রতিমা পূজা করবেন। তাই কতোগুলো পূজা হচ্ছে রাজধানী কিংবা দেশজুড়ে তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। ম-পগুলোতে নিরাপত্তার কারণে যতটুকু আলো দরকার তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু বর্ণিল আলোকসজ্জা থাকছে না মন্ডপগুলোতে।’ পুরাণ মতে, অন্যায়-অত্যাচার দূর করতেই মা কালীর মর্ত্যে আগমন। দুষ্টের দমন শিষ্টের পালনের বার্তা দিতে আসেন দেবী। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে শ্যামাপূজা বা কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়। দীপাবলির সন্ধ্যায় মন্দির প্রাঙ্গণ, বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সেজে ওঠে সারি সারি প্রদীপ আর মোমের স্নিগ্ধ আলোয়। অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির বিজয়ের প্রতীক দীপাবলি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তাই শ্যামা দেবী শান্তি, সংহতি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সংগ্রামের প্রতীক।