স্টাফ রিপোর্টার: করোনা ভাইরাসের সংকটে কোচিং স্টাফদের বেতন কাটার পরিকল্পনা বেশ আগেই করেছে কয়েকটি ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো, তারা বোর্ডের কোচিং স্টাফ, কর্মকর্তা বা ক্রিকেটারদের বেতন কাটার কথা ভাবছে না। কিন্তু প্রাদুর্ভাবের ব্যাপ্তি যেহেতু বাড়ছে বিসিবিও ভাবছে বিদেশি কোচদের বেতন কাটার বিষয়টি। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খান জানান, যদি বোর্ড পাঁচ-ছয়মাসের আয় হারায় তাহলে কোচিং স্টাফদের বেতনের বিষয়টি তাদের পর্যালোচনা করে দেখতে হবে। বাংলাদেশ মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছে। এরপর থেকেই নিজ নিজ দেশে আছেন দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, বোলিং কোচ ওটিস গিবসন, ব্যাটিং কোচ নীল ম্যাকেঞ্জিরা। আকরাম খান বলেন, ‘যদি আমরা পাঁচ-ছয় মাসের আয় হারায় তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কোচদের চুক্তির শর্ত নিয়ে আমাদের ভাবতে হতে পারে। কী করা যায়, তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করতে হবে। ড্যানিয়েল ভেট্টরি আমাদের খুবই ব্যয়বহুল এক কোচ। তার ব্যাপারটা নিয়েও ভাবতে হবে।’ তবে অন্য বোর্ড কর্মকর্তা জানান, ভেট্টরির সঙ্গে চুক্তি দিনভিত্তিক। তাকে তাই কাজ না করলে বাড়তি অর্থ দেয়ার সুযোগ নেই। যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, তাদের কাজে লাগানো যায়, তবে তারা বেতন পাবেন। এক্ষেত্রে অন্য বোর্ড যে পদ্ধতি অবলম্বন করছে বিসিবিও সেটাই করবে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর চুক্তি ২০২১ সাল পর্যন্ত। বোলিং কোচ ওটিস গিবসন কাজ করবেন ২০২২ সাল পর্যন্ত। ফিজিও জুলিয়ান ক্যালিফাতোর সঙ্গে বিসিবির চুক্তি ২০২১ সাল পর্যন্ত। এছাড়া মার্চে দলের সঙ্গে যোগ দেয়া ট্রেইনার নিকোলাস ট্রেভর লি কাজ করবেন ২০২৩ সাল পর্যন্ত।