যেভাবে দ্বন্দ্ব শুরু রুবেল-বিরাটের

স্টাফ রিপোর্টার: অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটাররা পর্যন্ত বলেন, বিরাট কোহলিকে রাগিও না। সাবেক অজি পেসার মিশেল জনসন একবার বিরাটকে ক্ষেপিয়ে বেশ ভুগেছেন। ব্রেট লি তাই অন্যদের পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের তারকা ব্যাটসম্যানকে না ক্ষেপাতে। তার কথা প্যাট কামিন্স-জজ হ্যাজলউডরা শুনলেও বাংলাদেশ পেসার রুবেল হোসেন শুনবেন বলে মনে হয় না। কারণ রুবেলের সঙ্গে বিরাট কোহলির দ্বন্দ্ব সেই অনূর্ধ্ব-১৯ খেলার সময়। সেটা জাতীয় দলে এসেও রয়ে গেছে দুই ক্রিকেটারের। বিরাটকে বল করে চোখে চোখ রেখে এগিয়ে যান রুবেল। রাগে গরগর করেন বিরাট। বেশ ক’বার ওই দ্বৈরত্বের ভালো ফলও পেয়েছে বাংলাদেশ। কখনও বিরাট আউট হয়েছেন রুবেলের বলে। কখনও তাসকিনরা তুলে নিয়েছেন তাকে। এর মধ্যে ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়াটার ফাইনালে বিরাট কোহলিকে পুরোপুরি পরাস্থ করে সাজঘরে ফেরান রুবেল। দেখান দুর্দান্ত উদযাপন। তার আগেই গ্রুপ পর্বে রুবেল ইংল্যান্ডকে দুর্দান্ত দুই ডেভিভারিতে ম্যাচ হারিয়ে দলকে কোয়ার্টারে তুলেছেন। রুবেলের উদযাপন তাই হলো আক্রমণাত্মক। গত শুক্রবার রাতে ফেসবুক লাইভে তামিম ইকবাল তাদের দুজনের ওই দ্বৈরত্বের কথা তুলে আনেন। বাংলাদেশ ওপেনার তামিম বলেন, ‘রুবেল, অনেকদিন ধরেই দেখছি। বিরাট কোহলির সঙ্গে তোর সব সময় কিছু একটা লেগে থাকে। চোখাচোখি করিস, আউট করলে লাফালাফি করিস, এর কাহিনীটা যদি একটু বলতি?’ রুবেলের জবাব, ‘আমরা একসঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ খেলেছি। তখন থেকেই ওর সঙ্গে একটা দ্বন্দ্ব (মুখে হাসি) লেগে আছে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সময় অনেক স্লেজিং করত বিরাট। গালি-গালাজ করত। জাতীয় দলে এসে একটু কমেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ত্রিদেশীয় সিরিজ ছিলো। ও প্রচুর স্লেজিং করছিলো। ওখানে ওকে আউট করার পর আমি একটু গালি দিয়েছিলাম। ও তখন আমার দিকে ব্যাটটা উল্টো করে ধরেছিলো। আমি ওর দিকে তেড়ে যেতেই সেও আমার দিকে তেড়ে আসছিলো। তখন আম্পায়ার এসে শান্ত করেন আমাদের।’ রুবেল জানান ওই দ্বন্দ্ব এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন তারা।

Comments (0)
Add Comment