মাথাভাঙ্গা মনিটর: দোহায় ২০১৯ অ্যাথলেটিকস বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিন গ্যাটলিনকে হারিয়ে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন তারই স্বদেশি ক্রিস্টিয়ান কোলম্যান। তখন থেকেই ১০০ মিটার স্প্রিন্টে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এই দৌড়বিদ। এবার তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ডোপ টেস্টে অনুপস্থিত থাকায় কোলম্যানকে সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শাস্তি পেতে পারেন এমন আশঙ্কা ছিলো। গতকাল তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অ্যাথলেটিকস নৈতিকতা ইউনিট। বিশ্ব অ্যাথলেটিকস সংস্থার ডোপিং বিরোধী এ ইউনিটের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া কিংবা যে কোনো কার্যক্রম থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ করা হলো।’ গত ডিসেম্বরে এই ডোপ টেস্টে অনুপস্থিত ছিলেন কোলম্যান। কাল তা প্রকাশ হওয়ার পর তার দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা জুটতে পারে এমন সম্ভাবনা দেখেছে সংবাদমাধ্যম। ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ‘অ্যাথলেটের অবস্থানগত’ ডোপিং নীতিমালার তিনটি নিয়ম ভাঙেন কোলম্যান। এরপরও গত বছর নিষিদ্ধ হওয়া থেকে কোনোমতে বেঁচে যান। এবার আটকা পড়ার কথা স্বীকার করলেন নিজেই। টুইটারে এক বার্তায় কোলম্যান জানান, গত ডিসেম্বরে ডোপ টেস্টে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে তিনি অ্যাথলেটিকস নৈতিকতা ইউনিটের সামনে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেননি। শাস্তির শঙ্কাটা তাই কোলম্যানেরও ছিলো, ‘অন্যান্য সবকিছু মিলিয়ে সম্ভব শাস্তিই পেতে যাচ্ছি।’ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ডোপ টেস্টে অনুপস্থিত থাকা এবং অন্যান্য নীতিমালা ভাঙা প্রমাণ হলে দুই বছর নিষিদ্ধ হতে পারেন কোলম্যান। সে ক্ষেত্রে তার টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেয়ার সম্ভাবনা থাকে না। টুইটারে এ নিয়ে দীর্ঘ বক্তব্যও দিয়েছেন ২৪ বছর বয়সী দৌড়বিদ।