মাথাভাঙ্গা অনলাইন: করোনা ভাইরাসের কারণে একে একে বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরণের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। হুমকির মুখে রয়েছে এ বছরের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) এবং এশিয়া কাপও। তবে বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) কোনোভাবেই আইপিএল স্থগিত রাখতে রাজি নয়। এশিয়া কাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে দিয়ে হলেও আইপিএল আয়োজন করার পক্ষে বিসিসিআই। আর এখানেই মূলত বাঁধ সেধেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কোনোভাবেই এশিয়া কাপ পেছানো যাবে না। চলতি বছরের এশিয়া কাপের আয়োজক দেশ পাকিস্তান। তাই স্বাভাবিক ভাবেই টুর্নামেন্টটি স্থগিত করার ইঙ্গিত পাওয়ায় আঁতে ঘা লেগেছে তাদের। ওয়াসিম খান বলেছেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। এশিয়া কাপ সেপ্টেম্বরে হবে, একমাত্র যদি স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকে তবে আলাদা কথা। এছাড়া আমরা আইপিএলকে সুবিধা করে দিতে এশিয়া কাপ পেছাতে পারব না।’ শুধুমাত্র ভারতকে সুবিধা দিতে এশিয়া কাপ নভেম্বর কিংবা ডিসেম্বরে নেয়া অনুচিত বলেও মনে করেন ওয়াসিম। আর সেই কারণে বিষয়টির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। কোনোভাবেই এই সিদ্ধান্তে রাজি হবে না পিসিবি বলেও জানিয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম। তাঁর ভাষ্যমতে, ‘আমি এমন কথা শুনতে পাচ্ছি, এশিয়া কাপ নভেম্বর-ডিসেম্বরে নেয়া হবে। আমাদের জন্য সেটা সম্ভব নয়। যদি সেটা আপনি করেন, তবে তো শুধু এক সদস্য দেশকে সুবিধা দিলেন। এটা ঠিক হবে না। আমরা সেটা সমর্থনও করব না।’ শুধু এশিয়া কাপই নয়, আইপিএলের জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পেছানোকেও যুক্তিসঙ্গত মনে করছেন না ওয়াসিম। প্রয়োজনে রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ আয়োজন করার পক্ষে তিনি। এক্ষেত্রে ১৫-২০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হলেও তা মেনে নিতে রাজি ওয়াসিম। ওয়াসিম খান বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দর্শক ছাড়াই হতে পারে। যদি আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটি না খেলি, তবে প্রতিটি বোর্ড মোটামুটি ১৫ থেকে ২০ মিলিয়ন ডলারের মতো লোকসান করবে।’