স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী করোনার সর্বনাশা তা-বে বিধ্বস্ত আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট। ইতিমধ্যে বাতিল হয়ে গেছে একাধিক সিরিজ। আইপিএলের মতো বড় টুর্নামেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও শঙ্কার মুখে পড়েছে। এর প্রভাব খেলাটির অর্থনীতিতে নিশ্চিত পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এককথায়, লকডাউনপরবর্তী সময়ে ক্রিকেট জগতে নেমে আসতে পারে চরম অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা। অন্য খেলাগুলোও এর করালগ্রাস থেকে নিস্তার পাবে তা নয়। ফুটবল, হকি, টেনিস, ব্যাডমিন্টন ও অ্যাথলেটিকসেরও একই দশা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। স্বনামধন্য এক ফিন্যান্সিয়াল কনসালট্যান্সি সংস্থার প্রতিনিধি মনিশ দেশাই বলছেন, মূলত লাইসেন্সিং ও টিভি ব্রডকাস্ট থেকে স্পোর্টস বডিগুলোর আয় আসে। তাই খেলা বন্ধ হওয়ায় বেশিরভাগ সংস্থাই বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে। ভারতীয় ক্রিকেট হয়তো কোনোরকমে চলবে। তবে মিডিয়া চুক্তি পুনঃনবায়ন না হলে ছোট দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা বোর্ড চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। এ কথা স্বীকার করছেন খোদ দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞ ক্রিকেটকর্তা হারুন লরগাতও। তিনি বলছেন, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোকে এখন অস্তিত্ব বাঁচানোর জন্য লড়তে হবে। অনেক দেশেরই অন্যদের সহায়তা ছাড়া বেসিক খরচ চালানোরও সক্ষমতা নেই।’ এ পরিস্থিতিতে তাদের আইসিসির সাহায্য করা উচিত। বিগ থ্রি মডেলে ভারতের সঙ্গে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। তারাও সমস্যার কবলে পড়বে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না হলে এবং ভারত সফর না করলে অজি ক্রিকেট বিশাল ক্ষতির সম্মুক্ষীণ হবে। সেই পরিমাণটা হতে পারে প্রায় ১৭৪ মিলিয়ন ডলার। দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্ট না হলে বিপাকে পড়বে ইংলিশ ক্রিকেট। আর আইপিএল না গড়ালে কমপক্ষে ৬০০ মানুষের আয়ের পথ রুদ্ধ হবে। শুধু তাই নয়, সরকারি সম্প্রচারকারী সংস্থাকে ১৫০০ কোটি রুপি ফেরত দিতে হতে পারে বিসিসিআইকে। লিগ বন্ধ হয়ে গেলে পরোক্ষভাবে ভারতীয় অর্থনীতিতেও ধাক্কা লাগবে। আইপিএল চললে হোটেল-এয়ারলাইনসসহ অনেক ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন বাড়ে। ২০১৫ সালে ভারতীয় জিডিপিতে এ টুর্নামেন্টের অবদান ছিল ১১৫০ কোটি রুপি। দিন দিন তা বাড়ছে। এখন খেলা না হলে বোর্ড ও ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলিয়ে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে প্রায় ৪০০০ কোটি রুপি।