মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে পা রাখতে যেখানে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে। এমন ম্যাচে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারতের অধিনায়ক নিকি প্রসাদ। আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতের বোলারদের বোলিং তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৪ রানের সংগ্রহ পায় টাইগ্রেস মেয়েরা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গঙ্গাদি ত্রিশার ৪০ রানের ইনিংসে ৭৭ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের জয় পায় ভারত। আর এই জয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে তারা। বাংলাদেশের দেওয়া ৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে আগ্রসী ব্যাটিং শুরু করে ভারত। ওপেনিং জুটিতে ২৩ রান যোগ করে ম্যান ইন ব্লুর মেয়েরা। কমলিনী আউট হলেও আরেক ওপেনার গঙ্গাদি ত্রিশা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যান। তাতে জয়ের ভীত পেয়ে যায় ভারত। দলীয় ৬১ রানে ত্রিশা আউট হলেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি ম্যান ইন ব্লু দের। ৭৭ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় ভারত। এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে জুনিয়র টাইগ্রেস দল। প্রথম ওভারে ২ রান করা মোসাম্মৎ ইভাকে ফেরান ভারতের শবনম। পরের ওভারে রানআউট হয়ে ফেরেন ১১ বলে ৫ রান করা সাদিয়া ইসলাম। প্রথম দুই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে একের পর এক উইকেট খোয়াতে থাকে সুমাইয়ার দল। দলীয় ২২ রান তুলতেই সাজঘরের পথ ধরেন আরও তিন ব্যাটার। ফাহমিদা ছোঁয়া, সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা ও আফিয়া আশিমা ইরার ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ২, ৫ ও ৭ রান। এরপর হাল ধরার চেষ্টা করেন জান্নাতুল মাওয়া ও অধিনায়ক সুমাইয়া আক্তার। তবে বৈষ্ণবী শর্মা ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন মাওয়া। তার ব্যাটে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ রান। খানিকদূর একাই লড়াই করে গেছেন অধিনায়ক সুমাইয়া। অপরাজিত থেকে ২১ রানের একটি ইনিংস খেলেন। সাদিয়া আক্তার শূন্য ও নিশিতা আক্তার করেন ৬ রান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৬৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ভারতের হয়ে বল হাতে বৈষ্ণবী শর্মা সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন।