মাথাভাঙ্গা মনিটর: ফরটুনা ডুসেলডর্ফের জালে আবারও গোল উৎসব করে বুন্ডেসলিগা শিরোপা ধরে রাখার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে বায়ার্ন মিউনিখ। জোড়া গোল করেছেন রবের্ত লেভানদোভস্কি, জালের দেখা পেয়েছেন বাঁজামাঁ পাভার্দ, আলফানসো ডেভিস। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শনিবার ৫-০ ব্যবধানে জিতেছে বায়ার্ন। দুই দলের প্রথম দেখায় ফরটুনার মাঠে ৪-০ গোলে জিতেছিলো শিরোপাধারীরা। চতুর্থ মিনিটে ম্যাচের প্রথম সুযোগটি পায় ফরটুনা। টানা ছয় ম্যাচে অপরাজিত দলটির আলফ্রেডো মোরালেস গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার বরাবর শট নিয়ে নষ্ট করেন সুযোগ। নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে যায় বায়ার্ন। এরপর ম্যাচ জুড়ে ছিলো কেবল তাদেরই দাপট। পঞ্চদশ মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডি বক্সে সের্গে জিনাব্রির পাঠানো বলে স্লাইড করে জাল খুঁজে নিতে চেয়েছিলেন পাভার্দ। ঠিক মতো পারেননি। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে তালগোল পাকান মাটিয়াস ইয়োরগেনসেন। দিক পাল্টে বল জড়ায় জালে। ২৮ মিনিটে টমাস মুলারের শট কর্নারের বিনিময়ে কোনোমতে রক্ষা করেন সফরকারী গোলরক্ষক। ইয়োশুয়া কিমিখের কর্নারে দারুণ হেডে জাল খুঁজে নেন পাভার্দ। দুই দলের প্রথম দেখায়ও গোল করেছিলেন এই ফরাসি ডিফেন্ডার। ৪৩তম মিনিটে দলীয় প্রচেষ্টার এক গোলে ব্যবধান আরও বাড়ান লেভানদোভস্কি। দাভিদ আলাবার কাছ থেকে বল পেয়ে নিজেই শট নিতে পারতেন কিমিখ। গোলরক্ষককে একা পেয়ে তিনি ব্যাক হিল করে খুঁজে নেন মুলারকে। এই মিডফিল্ডারও শট নেননি। ফ্লিক করে পাঠান লেভানদোভস্কির কাছে। আট গজ দূর থেকে বাকিটা অনায়াসে সারেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। লিগে এটি তার ২৮তম গোল। এবারের আসরে সব প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই জালের দেখা পেলেন তিনি। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের হিসেবে চিরো ইম্মোবিলেকে (২৭) ছাড়িয়ে এককভাবে উঠলেন গোলের চূড়ায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান আরও বাড়ান লেভানদোভস্কি। চলতি মরসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলে এটি তার ৪৩তম গোল। ছুঁয়ে ফেলেন ২০১৬-১৭ মরসুমে করা ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। জিনাব্রির নিচু ক্রসে তার ব্যাক-ফ্লিক খুঁজে পায় জাল। ৫২তম মিনিটে জটলা থেকে বল পেয়ে নিচু শটে ব্যবধান ৫-০ করে ফেলেন আলফানসো ডেভিস। একের পর এক আক্রমণ করে গেলেও বাকি সময়ে আর জালের দেখা পায়নি বায়ার্ন। এ জয়ে ২৯ ম্যাচে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করলো দলটি। ২৮ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পেছনে রয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।